Home> দেশ
Advertisement

Gujarat Shocker: প্রেমিককে ছাড়তে নারাজ স্ত্রী, ২ সন্তানকে বি*ষ খাইয়ে চরম পদক্ষেপ শিক্ষকের

Gujarat Shocker: বড় ৭ বছরের এবং ছোটটি ২ বছরের। এদের ২ জনকে ইুঁদুর মারা বিষ মেশান পানীয় খাইয়ে দেন। এর পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন

Gujarat Shocker: প্রেমিককে ছাড়তে নারাজ স্ত্রী, ২ সন্তানকে বি*ষ খাইয়ে চরম পদক্ষেপ শিক্ষকের

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাড়ায় সবাই চেনে শান্তশিষ্ট শিক্ষক হিসবে। সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। সেই শিক্ষকই কিনা ২ সন্তানকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী হলেন! বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।

পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুরাতের ডিনডোলির অল্পেসভাই সোলাঙ্কির স্ত্রী ফাল্গুনীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এক যুবকের সঙ্গে। অল্পেস তা জানতে পেরে যান। তাদের বোঝানোরও চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তার পরেই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

অল্পেসের দুই সন্তান। বড় ৭ বছরের এবং ছোটটি ২ বছরের। এদের ২ জনকে ইুঁদুর মারা বিষ মেশান পানীয় খাইয়ে দেন। এর পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন। অল্পেস তাঁর সুইসাইট নোট ও ২টি ডাইরিতে বিস্তারিত লিখে গিয়েছেন সব কথা। পুলিস ফাল্গুনী ও তার প্রেমিক নরেশ রাঠোরকে গ্রেফতার করেছে।

সংবাদসংস্থাকে সুরতের ডেপুটি পুলিস কমিশনার বিজয় গুজ্জর বলেন, পুলিসের কাছে খবর আছে এক ব্যক্তি ও তার দুই সন্তান মারা দিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিস দেখে অল্পেস ও তার দুই সন্তান মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় ডিনডোলি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন অল্পেস। সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তার দুই শিশু সন্তানকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পাশে পড়েছিল একটি বিষের বোতল।

বিজয় গুজ্জর আরও বলেন, অল্পেসের ব্যাগ থেকে একটি সুইসাইড নোট ও দুটি ডাইরি পাওয়া গিয়েছে। একটি ডাইরিতে তিনি স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা লিখেছেন। অন্যটিতে তিনি নিজের পরিবারের বহুকিছু লিখে গিয়েছেন। সুইসাইড নোটে তিনি তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কের কথা বিস্তারিত লিখে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন-লড়াই শেষ, AIIMS-এ যুদ্ধে হেরে গেলেন পুরীর 'দগ্ধ নির্যাতিতা'! পুলিস বলল, নিজেই মরেছে...বাবাও...

আরও পড়ুন-তীব্র ভূমিকম্পের পর সুনামির আতঙ্ক গোটা উপকূলে, জেগে উঠল ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি

অল্পেস তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন তিনি তাঁর স্ত্রী ও তার প্রেমিকের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ব্যপারের কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কথা বলতে চাননি। তার পরেই তিনি চরম পদক্ষেপ নেন।

ডেপুটি পুলিস কমিশনার বলেন, অল্পেসভাই প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ও তার প্রেমিককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা বোঝেনি। তার পরেই অল্পেস চরম পদক্ষেপ নেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More