Air India deadly bombing: ৪৫ মিনিট পরই অবতরণ, বোমায় উড়ে গেল এয়ার-ইন্ডিয়ার বিমান! আকাশেই শেষ ৩২৯ যাত্রী...

Air India Kanishka Flight 182: বিমান অবতরণের ৪৫ মিনিট আগে মাঝ আকাশে ভংয়কর বিস্ফোরণ। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়ার সেই ফ্লাইট। শেষ হয়ে যায় বিমানে থাকা ৩২৯ জন যাত্রীই।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বোমাতঙ্কের জেরে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে বিমানকে। এয়ার ইন্ডিয়ায় (Air India) এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে। কিন্তু ফ্লাইট ল্যান্ড করার ৪৫ মিনিট আগেই পুরো বিমানটা উড়ে গেল বোমায় (bombing)। এমন ঘটনা যা শুনে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গিয়েছে শরীরে। আজও যে ঘটনা মনে করে শিউরে ওঠেন অনেকে। এটাও এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য এক অভিশপ্ত দিন ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সেই বিমানের কোনও যাত্রী বেঁচে ফেরেনি। 

১৯৮৫ সালের ২৩শে জুন, লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণের ঠিক ৪৫ মিনিট আগে এয়ার ইন্ডিয়ার মন্ট্রিয়াল-নয়াদিল্লি 'কনিষ্ক' ফ্লাইট ১৮২-এ মাঝ আকাশে বিস্ফোরণ হয়। বিমানের ৩২৯ জন যাত্রীর সকলেই মারা যান, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান। ১৯৮৪ সালে স্বর্ণমন্দির থেকে জঙ্গিদের অপসারণের জন্য ভারতীয় সামরিক অভিযান 'অপারেশন ব্লু স্টার'-এর প্রতিশোধ হিসেবে শিখ উগ্রপন্থীদের উপর এই হামলার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

এটাই কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে রয়ে গিয়েছে। যদিও এই হামলার জন্য শিখ সন্ত্রাসী সংগঠন বাব্বর খালসাকে দায়ী করা হয়েছিল। স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের সরাসরি প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হয়েছিল এই ঘটনাকে। পরে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিস (RCMP) ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। যা কানাডায় চলা দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে বিস্তারিত সন্ত্রাসবাদ তদন্তগুলির মধ্যে একটি।

বোমা হামলার কয়েক মাস পর, বাব্বর খালসার নেতৃত্বদানকারী তালবিন্দর সিং পারমার এবং একজন ইলেকট্রিশিয়ান ইন্দ্রজিৎ সিং রেয়াতকে আরসিএমপি হেফাজতে নেয়। পারমার, যাকে ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারত প্রত্যর্পণের জন্য চেয়েছিল, "প্রমাণের অভাবে" মুক্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, আক্রমণের পেছনে পারমারের হাত ছিল। ১৯৯২ সালে ভারতীয় পুলিসের হাতে সে নিহত হয়।

২০০০ সালে, ভ্যাঙ্কুভারের একজন ব্যবসায়ী রিপুদমন সিং মালিক এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একজন মিল শ্রমিক আজাইব সিং বাগরির বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং ষড়যন্ত্র-সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু ২০০৫ সালে, দীর্ঘ আদালতের প্রক্রিয়ার পর, উভয়কেই সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিচারক উপস্থাপিত তথ্যের সমস্যা এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। 

বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রেয়াতই একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। পরে মালিক এবং বাগরির বিচারের সময় শপথ নিয়ে মিথ্যা বলার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, যার ফলে তাকে আরও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।