Home> দেশ
Advertisement

পুনের ব্যাঙ্ক থেকে ৯৪ কোটি টাকা চুরি করল হ্যাকাররা

দ্বিতীয় হ্যাকটি হয় ১৩ অগস্ট সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ। পুলিস জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে সুইফ্ট লেনদেনের মাধ্যমে ১৩.৯২ কোটি টাকা লুঠ করে হ্যাকাররা

পুনের ব্যাঙ্ক থেকে ৯৪ কোটি টাকা চুরি করল হ্যাকাররা

নিজস্ব প্রতিবেদন: একটি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেল ৯৪.৪২ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে  হ্যাক করেই এই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। পুনের কসমস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে এই ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার চতুরশ্রিঙ্গি থানার পুলিস জানিয়েছে, দু’বার হ্যাক করা হয়েছে। প্রথম প্রতারণাটি হয় ১১ অগাস্ট বিকেল ৩টে থেকে রাত ১০ টার মধ্যে। এই সময় ৭৮ কোটি টাকা উধাও হয় ব্যাঙ্ক থেকে।

কীভাবে প্রতরণা করল হ্যাকাররা?

পুলিস জানিয়েছে, সমবায় ব্যাঙ্কের এই প্রধান কার্যালয় থেকে ওই সময়ের মধ্যে ভিসা এবং রুপে ডেবিট কার্ডের তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে চুরি করা হয়। এর পিছনে রয়েছে মোট ২৮টি দেশের হ্যাকার চক্র। প্রথমে ৪০০টি ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে ২.৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। জানা যাচ্ছে, মোট ২,৮০০ বার জাল লেনদেন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ১২ হাজার বার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এই ৭৮ কোটি টাকা তুলে নেয় হ্যাকাররা। তবে, এই টাকা কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে যায়নি।

fallbacks

আরও পড়ুন- লোকসভা ও ১১ রাজ্যে একইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলেনি দল, জানাল বিজেপি

দ্বিতীয় হ্যাকটি হয় ১৩ অগস্ট সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ। পুলিস জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে সুইফ্ট লেনদেনের মাধ্যমে ১৩.৯২ কোটি টাকা লুঠ করে হ্যাকাররা। এই টাকা হংকং-এর এএলএম ট্রেডিং লিমিটেড সংস্থার একটি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। ভারতের বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টেও লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান-ছত্তিসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হবে বিজেপির! বলছে সমীক্ষা

পুনের এই কসমস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৬ সালে। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমবায় ব্যাঙ্ক। তবে, এ ভাবে মোটা টাকা চুরি হওয়ার পর ফের প্রশ্নের মুখে ব্যাঙ্কিং নিরাপত্তা। সম্প্রতি এ রাজ্যে একাধিক জায়গায় এটিএম প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে। স্কিমারের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। তবে, কোনও ব্যাঙ্ক থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এমন মোটা অঙ্কের প্রতারণার ঘটনা সাম্প্রতিক কালে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Read More