Home> দেশ
Advertisement

আমি জানি আমি মরব, একবার আমার মেয়েকে দেখতে চাই: ইয়াকুব মেমন

তখন ফাঁসি রদের আর্জি নিয়ে শেষ রাতে নাটক চলছে দিল্লিতে। রাতেই ফাঁসি পিছনোর জন্যই তাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু সেই সময় কী জেলের ভিতর বসে কী করছিলেন ইয়াকুব। সূত্রের খবর, এক কোণে বসে চুপচাপ মাথা নিচু করে বসেছিলেন। রাতে খাবার দিতে এলে কিছু খেতে চাননি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলছেন, ''আমি জানি আমি মরব। কোনও ম্যাজিকই এখন আমায় বাঁচাতে পারে। শুধু একবার আমার মেয়েকে দেখতে চাই।''

আমি জানি আমি মরব, একবার আমার মেয়েকে দেখতে চাই: ইয়াকুব মেমন

ওয়েব ডেস্ক: তখন ফাঁসি রদের আর্জি নিয়ে শেষ রাতে নাটক চলছে দিল্লিতে। রাতেই ফাঁসি পিছনোর জন্যই তাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু সেই সময় কী জেলের ভিতর বসে কী করছিলেন ইয়াকুব। সূত্রের খবর, এক কোণে বসে চুপচাপ মাথা নিচু করে বসেছিলেন। রাতে খাবার দিতে এলে কিছু খেতে চাননি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলছেন, ''আমি জানি আমি মরব। কোনও ম্যাজিকই এখন আমায় বাঁচাতে পারে। শুধু একবার আমার মেয়েকে দেখতে চাই।''

ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি পিছনোর আর্জি নিয়ে রাতভর দিল্লিতে চলল নাটক। রাষ্ট্রপতি ইয়াকুবের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পর রাতেই প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হাজির হন ইয়াকুবের আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ১৪ দিনের জন্য প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান তাঁরা। এরপরই প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির বেঞ্চ তৈরি করে দেন। বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সেই বেঞ্চে ছিলেন আরও দুই বিচারপতি অমিতাভ রায় এবং বিচারপতি পিসি পন্থ। কেন ফের ইয়াকুব মেমনের প্রাণ ভিক্ষার শুনানি হবে সে নিয়ে আদালতের বাইরে বিক্ষোভ চলে।

রাত তিনটে কুড়ি নাগাদ শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর এজলাসে। ইয়াকুবের পক্ষে আইনজীবী অশোক গ্রোভার আদালতে জানান, প্রাণভিক্ষার আর্জি নয়, ফাঁসি পিছনোর জন্যই তাঁরা নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি এবং ইয়াকুবের আইনজীবীদের জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে সওয়াল জবাব। বিচারপতিরা জানান, ইয়াকুব মেমনকে সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি তাঁর ফাঁসি পিছনো হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে খারাপ নজির তৈরি করবে। ভোর প্রায় পাঁচটা নাগাদ বিচারপতিরা ফাঁসি পিছনোর আবেদন খারিজ করে দেয়। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাতটার মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করার জন্য নাগপুর জেলে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Read More