জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টানা ৩টি যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল পঞ্জাবের এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেই বায়ুসেনা ঘাঁটি বেচে দিল মা-ছেলে। শেষপর্য়ন্ত তার রক্ষা করেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত রেভিনিউ অফিসার। নথি জাল করে সালে ওই বায়ুসেনা ঘাঁটি বিক্রি করে দেন মা ও ছেলে। বায়ুসেনা ঘাঁটিটি ব্যবহার হয়েছিল ১৯৬২, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধে।
প্রায় তিন দশক পর নথি জাল করে ওই ঘাঁটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য এফআইআর হয়েছে ঊষা আনসাল ও তার ছেলে নবীনে বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত পাক সীমান্ত ঘেঁসা ফিরোজপুরের ফাতুয়ালা বায়ুসেনা ঘাঁটিটি ব্যবহার হয়েছিল অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড হিসেবে।
অভিযুক্ত ছেলে ও মা বর্তমানে দিল্লির বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, পরিচয় জাল করা, নথি জালিয়াতি করা ও ষড়যন্ত্রের মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরোজপুরের পুলিস আধিকারিক মনজিত্ সিং।
নিশান্ত সিং নামে এক অবসরপ্রাপ্ত রেভিনিউ অফিসার ভিজিল্যান্সে একটি অভিযোগ করেন। তার পরেই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। কিন্তু তার পরেও কোনও পদক্ষেপ প্রশাসন নিচ্ছিল না। শুধুমাত্র একটা প্রথামিক তদন্ত হয়েছিল। ২০২১ সালে হালওয়ারা বায়ুসেনা ঘাঁটির ফিরোজপুরের জেপুটি কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ করে তদন্তের অনুরোধ করেন। তবে তার পরেও তদন্ত শুরু করতে প্রায় ৫ বছর লেগে যায়।
আরও পড়ুন-সামান্য ঘটনা! সমালোচনার ঝড় উঠতেই মানস বললেন, কসবাকাণ্ডের কথা বলিনি
আরও পড়ুন-ভয়াবহ হিটওয়েভ! গত ১০০ বছরের উষ্ণতম মাস! জ্বলেপুড়ে খাক হবে গোটা দেশ? আতঙ্কে...
এদিকে, ব্যবস্থা নিতে দেরি হওয়ায় পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আপিল করেন নিশান্ত সিং। হাইকোর্ট ফিরোজপুর ডেপুটি কমিশনারকে ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেয়। ওই তদন্তের শেষ ডেপুটি কমিশার রিপোর্ট দেন ওই জায়গাটি এখনও ভারতীয় বায়ুসেনার দখলেই রয়েছে। অন্তত নথি সেটাই বলছে।
এর পরও থেমে থাকেননি নিশান্ত সিং। তিনি বলেন, নথি জাল করে ওই জায়গা ২০০১ সালে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রচুর কাটখড় পুড়িয়ে ২০২৫ সালের মে মাসে ওই বায়ুসেনা ঘাঁটি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আওতায় এসেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)