জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে যখন নমনীয় ওয়ার্ক কালচার স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, তখনও কিছু ভারতীয় কোম্পানি যেন ২০০৫ সালেই আটকে আছে। সম্প্রতি একজন Reddit ইউজার তাঁদের কোম্পানির চ্যাট থেকে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে অনলাইনে জোরদার বিতর্ক তৈরি করেছে। ওই বার্তায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, সকাল ৯:৩০-এ রিপোর্ট করতে না পারলে হাফ ডে হিসাবে গণ্য করা হবে। সেই সঙ্গে স্যালারিও কাটা হবে।
সেই পোস্টের ক্যাপশন ছিল, "কোম্পানিগুলো এখনও প্রাপ্তবয়স্কদের স্কুলের ছাত্র বানিয়ে রাখছে। সকাল ৯:৩০-এ রিপোর্ট না করলে হাফ ডে!"—এটা এখনও কতটা যুক্তিসঙ্গত? পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এর নির্মম বাস্তববাদী সুর এবং “স্কুল শুরু হল” ধরনের আচরণ নিয়ে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—বর্তমান যুগে, যেখানে কাজের মান এবং আউটপুটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে সময় নিয়ে এমন কড়াকড়ি কতটা প্রাসঙ্গিক?
এই Reddit পোস্টে একটি স্ক্রিনশট ছিল, যেখানে এক ম্যানেজার একটি মেল রিমাইন্ডার পাঠিয়েছেন। তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, সকল কর্মচারীকে সকাল ৯:৩০-এর মধ্যে অফিসে রিপোর্ট করতেই হবে। কেউ যদি কোনও বৈধ কারণে দেরি করেন, তাহলে আগেই ম্যানেজারকে জানাতে হবে সরাসরি। সেখানে আরও বলা হয়, যাঁরা ৯:৩০-এর পরে অফিসে পৌঁছবেন এবং আগে থেকে কিছু জানাবেন না, তাঁদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে 'হাফ ডে' হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, কোম্পানির নীতি অনুসারে।
তবে শুধু মেসেজই নয়, Reddit ইউজারের ক্যাপশনটিও ব্যাপক সাড়া ফেলে। তিনি লেখেন, “আজকে একটা ব্যাপার ঘটেছে, যা দেখে ভাবনায় পড়ে গেলাম—ভারতের কিছু কোম্পানি এখনও স্কুলের মতো মানসিকতায় চলছে।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, সময়মতো না জানালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাফ ডে, অ্যাটেনডেন্স লগ করতে ভুলে গেলে—বেতন কাটা বা আনপেইড লিভ, ছুটি আগে থেকে অনুমোদিত না হলে—ফলাফল সেই একই।
এরপর ওই Reddit ইউজার সরাসরি কিছু তীব্র অথচ পরিচিত প্রশ্ন তুলে দেন কমিউনিটির উদ্দেশ্যে, যা বহু কর্মজীবী মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গেই মিলে যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "কেন এখনও কিছু কোম্পানি স্কুলের মতো আচরণ করছে?" কেন তারা এখনো কড়াকড়িভাবে অ্যাটেনডেন্স নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে আসল গুরুত্বটা দেওয়া উচিত কাজের ফলাফল ও কর্মদক্ষতায়?
তিনি লেখেন, জীবন সবসময় পরিকল্পনা মতো চলে না— শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে না পৌঁছানোর জন্য কর্মীদের শাস্তি দেওয়া হয়, যা ন্যায্য নয়। পোস্টের শেষে, তিনি পাঠকদের অনুরোধ করেন তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে—কারও কোম্পানিতে কি একই ধরনের Attendance Policy চালু আছে? কেউ কি কখনও ফ্লেক্সিবল সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করেছেন?
বিশেষ করে পুনে বা অন্যান্য বড় শহরে, এখন কি সময় হয়নি কোম্পানিগুলোর কর্মীদের ওপর আস্থা রাখার, যাতে তারা নিজেরাই তাদের সময় ম্যানেজ করতে পারে? সবশেষে তিনি সতর্ক করেন, এমন কঠোর নীতি কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বদলে উল্টে কর্মীদের মনোবল এবং উৎপাদনশীলতা কমাতে পারে। এই পোস্টটি শুধু একটি অভিজ্ঞতা নয়, বরং একটি বড় প্রশ্ন—আজকের দিনে অফিস সংস্কৃতি ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে?
আরও পড়ুন, Tamil Nadu horror: 'নরখা*দক' বাবা! ৬-৭-১০! ৩ মেয়ের গলা কে*টে ধ*ড় থেকে মু*ণ্ডু আলাদা করে দিলেন...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)