Home> দেশ
Advertisement

নকল মাছ চিনতে ল্যাব-এ ডাক পড়ল বাঙালির, Blind testing-এ ফেল

মাছপ্রেমী হিসাবে পরিচিত বাঙালি। কিন্তু Blind testing-এ ফেল।

নকল মাছ চিনতে ল্যাব-এ ডাক পড়ল বাঙালির, Blind testing-এ ফেল

নিজস্ব প্রতিবেদন- মাছ চিনতে হবে। চেখে দেখা যাবে না। চোখ বন্ধ থাকবে। আঁশটে গন্ধে চিনতে হবে, মাছ আসল নাকি নকল! বাঙালির কাছে এর থেকে সহজ কাজ আর কী হতে পারে! যে বাঙালির রোজ মাছ পাতে না পড়লে চলে না, এমন কাজ তো তাঁর কাছে জল-ভাত। কিন্ত না। বাঙালি নকল মাছ চিনতে পারল না। নকল মাছের গন্ধে ভুল হল বাঙালির। আসল বলে ভুল করে বসল মাছপ্রেমী বাঙালি। IIT দিল্লির ল্যাবে ডাক পড়েছিল বাঙালির। কাব্যা নামের এক অধ্যাপক বাঙালি ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকজনকে ডেকেছিলেন। কারণ বাঙালির রোজ মাছ খাওয়ার অভ্যেস। সেখানে Blind testing-এ ফেল করল বাঙালি।

অনেক মানুষকেই চিকিত্করা আমিশ খেতে বারণ করেন। আবার দেশের অনেক মানুষ রয়েছেন নিরামিশাষী। তাঁদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে কী করে! তাঁদের কথা ভেবেই IIT দিল্লির বিজ্ঞানীরা প্ল্যান্ট বেসড মাছ ও মাংস তৈরি করলেন। অর্থাত্, ল্যাবে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মাছ ও মাংস। সেই নকল মাছের গন্ধ শুঁকে চিনতে পারল না মাছপ্রিয় বাঙালি। গন্ধ নাকি একেবারে আসল মাছের মতোই। IIT দিল্লির সেন্টার ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি যে মাংস কৃত্রিম উপায়ে উত্পাদন করেছে তার স্বাদও একেবারে আসল মাংসের মতোই। দাবি করেছেন ল্যাবের অনেকেই।

আরও পড়ুন-  ফুসফুস (Lungs) ৯০ শতাংশ বিকল, ওজন কমল ২০ কেজি! Corona-মানুষে টানাটানি চলল ১১৯ দিন

মঙ্ক মিট বা ফিস বলা হচ্ছে এই আবিষ্কারকে। এর আগে কৃত্রিম উপায়ে ডিম উত্পাদন করেছিলেন প্রফেসর কাব্যা ও তাঁর টিম। তার জন্য ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর তরফে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। UN-এর একটি দল সেবার দিল্লিতে এসে সেই কৃত্রিম ডিম সেদ্ধ করে দেখেছিল। এবার মাছ ও মাংস উত্পাদনেও বড় সাফল্যের দাবি জানাচ্ছে কাব্যা ও তাঁর দল। ইতিমধ্যে বার্গার, কাঠি রোলে কৃত্রিম মাংস দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাদ-ও গন্ধে আসল মাংসের সঙ্গে কোনও ফারাক নেই বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

Read More