Home> দেশ
Advertisement

Impact of Trump’s tariffs: ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্কের নির্দেশ, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে ভারতে দাম বাড়ছে কোন কোন জিনিসের?

Price Hike in India: ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের রপ্তানি শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়বে এবং এর পরোক্ষ ফলস্বরূপ ভারতেও কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা। কোন কোন পন্য রয়েছে সেই তালিকায়? 

Impact of Trump’s tariffs: ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্কের নির্দেশ, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে ভারতে দাম বাড়ছে কোন কোন জিনিসের?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সম্প্রতি ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, যার জেরে ভারতীয় পণ্যের (Indian Prodect) ওপর মোট শুল্কের হার বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ (50% Tariff)। এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের রপ্তানি শিল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়বে এবং এর পরোক্ষ ফলস্বরূপ ভারতেও কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা। রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার কারণেই এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কোন কোন পণ্যের দাম বাড়তে পারে?

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে ভারতে বেশ কিছু জিনিসের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে, যার মধ্যে রয়েছে-

ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম: ট্রাম্প প্রশাসন প্রথম দফায় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক চাপিয়েছিল। এর ফলে মার্কিন বাজারে এই পণ্যের দাম বেড়ে যায়, এবং এর পাল্টা প্রভাবে ভারতেও অভ্যন্তরীণ বাজারে ইস্পাতের দাম বাড়তে পারে।

তৈরি পোশাক ও বস্ত্র: ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের একটি বড় অংশ রপ্তানি হয়। নতুন শুল্কের কারণে এই রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে, এই শিল্পে জড়িতদের আয় কমে যাবে এবং এর প্রভাব দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে পড়বে।

রত্ন ও অলঙ্কার: ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ গয়না রপ্তানি করে। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এই খাতটিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা অনেক কারিগরের জীবিকাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য: ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের রপ্তানিও এই শুল্কের ফলে প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- Sheikh Hasina: সত্যিই কি দিল্লিতে শেখ হাসিনা? বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে ফের চাঞ্চল্য...

অর্থনীতিতে সামগ্রিক প্রভাব

শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় পণ্যের দাম মার্কিন বাজারে অনেক বেড়ে যাবে। এর ফলে ভারতের রপ্তানি প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ কমে যেতে পারে। এটি সরাসরি ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। তবে, এটি একটি স্বল্পমেয়াদী চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে, মার্কিন শুল্ক নীতিতে ভারত এখন ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে বেশি শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে, যা ভারতের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত মার্কিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই নীতি বিদেশি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিলেও, পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন রফতানিকারকদেরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে পিছু হটতে হতে পারে।

ভারতের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ভারতের মতো দেশগুলির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো হলে তা ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারত যদি পাল্টা শুল্ক আরোপ করে এবং নিজেদের বাজার রক্ষায় অনড় থাকে, তবে ট্রাম্প প্রশাসন চাপের মুখে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে পারে। অতীতেও এমন পরিস্থিতিতে ভারত ও চীনের মতো দেশগুলির দৃঢ় অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে বসতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন- Breaking News LIVE Update: উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ গ্রাম, ৯ তারিখ অবধি চলবে দুর্যোগ...

মার্কিন অর্থনীতির ওপর প্রভাব

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি আপাতদৃষ্টিতে মার্কিন শিল্পকে সুরক্ষা দিলেও, এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নেতিবাচক হতে পারে। শুল্কের ফলে আমদানিকৃত কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়, যা মার্কিন উৎপাদনকারীদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে শেষ পর্যন্ত পণ্যের দাম বাড়ে এবং এর বোঝা পড়ে সাধারণ মার্কিন গ্রাহকদের ওপর। অনেক মার্কিন সংস্থা, যারা আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর নির্ভরশীল, তারাও ক্ষতির মুখে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

অনেক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে বাণিজ্য যুদ্ধ কোনো পক্ষের জন্যই লাভজনক নয়। এটি কেবল বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থির করে তোলে। তাদের মতে, ভারত যদি কূটনীতির মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে এই শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, তাহলে তা একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে। ভারতকে তাদের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে হবে এবং একই সাথে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ভারসাম্য বজায় রেখে ভারত যদি দৃঢ়তা দেখায়, তবে তা ট্রাম্পকে তার কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য করতে পারে। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি একদিকে যেমন মার্কিন উৎপাদনকারীদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে, তেমনি ভারত যদি এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তবে ট্রাম্প তার অবস্থান বদলাতে বাধ্য হতে পারেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More