Home> দেশ
Advertisement

কর্নাটকে রাজ্যতসভা পুরষ্কার পেলেন একজন ট্রান্সজেন্ডার

প্রথমবার কর্নাটকে রাজ্যতসভা পুরষ্কার দেওয়া হল একজন ট্রান্সজেন্ডারকে। ৬০ জন বিশিষ্ট মানুষকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। এই ৬০ জন বিশিষ্ট মানুষের মধ্যে আক্কাই পদমাশালীকেও মনোনীত করা হয়। যিনি ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার এবং গ্রহণযোগ্যতার জন্য লড়াই করেছিলেন।   

কর্নাটকে রাজ্যতসভা পুরষ্কার পেলেন একজন ট্রান্সজেন্ডার

ওয়েব ডেস্ক: প্রথমবার কর্নাটকে রাজ্যতসভা পুরষ্কার দেওয়া হল একজন ট্রান্সজেন্ডারকে। ৬০ জন বিশিষ্ট মানুষকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। এই ৬০ জন বিশিষ্ট মানুষের মধ্যে আক্কাই পদমাশালীকেও মনোনীত করা হয়। যিনি ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার এবং গ্রহণযোগ্যতার জন্য লড়াই করেছিলেন।   

জগদীশ নামে একজন ছেলে হয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু ছেলে হিসেবে মোটেই সুখী ছিলেন না তিনি। এর জন্য ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আক্কাই জানতেন এই পথ খুব একটা সুস্থ এবং স্বাভাবিক হবে না। তিনি এও জানতেন মেয়ে হলে অনেক রকম যৌন হয়রানির শিকার হতে হবে তাঁকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনকে স্থির করে নিজের পরিবর্তিত পরিচয় নিয়ে আসেন সকলের সামনে। তাঁর কথায়,'১২ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। দম বন্ধ হয়ে আসত তাঁর। তখন থেকেই লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি।'

সাংগামা নামে একটি এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। যেই এনজিওতে যৌন সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা হত। এরপর অনডেডে নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। যেখানে প্রধানত ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে কাজ করা হত। সেখান থেকেই নিজের লড়াই শুরু করেন তিনি।

তাঁর মতে, 'এই পুরষ্কার শুধু আক্কাইয়ের একার নয়, এই পুরষ্কার জিতেছেন সমগ্র ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মানুষ।'

রাজ্যতসভা পুরষ্কার হল কর্নাটকে দ্বিতীয় বৃহত্তম অসামরিক সম্মান পুরষ্কার। যেটি সাধারণত ১ নভেম্বর কর্নাটক গঠনের দিনে পালন করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি মানুষ তাঁদের নিজেদের অসামান্য কাজের জন্য পেয়ে থাকেন এই পুরষ্কার। পুরষ্কার স্বরূপ ১ লক্ষ টাকা সহ ২০ গ্রামের একটি সোনার মেডেল দেওয়া হয়ে থাকে। 

Read More