Home> দেশ
Advertisement

Teacher and student body found in UP Hotel: বিষে মুখ নীল! অসমাপ্ত প্রেমের পরিণতি... কুঁচকানো বিছানার চাদরে নাবালিকার...

UP Crime: রাবিদার গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে ছিল অবৈধ সম্পর্ক। এই সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামী অমিত। তাই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে অমিতকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে রাবিদা। তৈরি হয় শিউরে ওঠার মতো খুনের ছক।

Teacher and student body found in UP Hotel: বিষে মুখ নীল! অসমাপ্ত প্রেমের পরিণতি... কুঁচকানো বিছানার চাদরে নাবালিকার...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তর প্রদেশ যেন সবসময় খবরে। কখনও নারী ভ্রুণ হত্যা, কখনও পণের জন্য বধূ নির্যাতন বা বধূ হত্যা আর সম্প্রতি মেরঠের সৌরভ কাণ্ডের পর ঘরে ঘরে স্বামীকে খুন, প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে মারার ছক, কখনও খুন করে ড্রামে বা ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

এবার আবারও সেই উত্তর প্রদেশ। আলিগড়ের হোটেলের ঘর থেকে এক তরুণ ও নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে। 

নিহতদের নাম চন্দ্রভান (২৪) এবং ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্র। চন্দ্রভান একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। নিহত ছাত্রিটি তার ছাত্র ছিল। প্রাথমিক তদন্তে দুজনেরই আত্মহত্যা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে যে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে রুম বুক করে তাঁরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত যখন তারা দুজনেই ঘর থেকে বেরয় না, তখন হোটেল মালিকের সন্দেহ হয়। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেও যখন কোনও সাড়া পাওয়া না গেলে, তখন অন্য একটি চাবি দিয়ে দরজা খোলা হয়, যেখানে বিছানায় দুজনেরই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
মৃত যুবক চন্দ্রভান জোয়ালাজিপুরম বন্নাদেবীর বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মেলরোজ বাইপাস সন্ত নগরের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক ছিলেন। 
নিহত ছাত্রীটিও বনদেবী এলাকার বাসিন্দা এবং নবম শ্রেণিতে পড়ত। তাদের পরিবার ইতিমধ্যেই তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানত। এর পর, মেয়েটির পরিবার তাকে চন্দ্রভানের কাছ থেকে টিউশন নিতে নিষেধ করে। তবে, স্কুলে তাদের দুজনেরই দেখা হতে থাকে।
চন্দ্রভানের বাবা প্রমোদ কুমার বলেন, তিনি তার ছেলেকে এই সম্পর্ক শেষ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মেয়ের পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেছিলাম, কিন্তু দুজনেই রাজি হতে রাজি ছিল না। দুজনেই একসাথে থাকার ব্যাপারে অনড় ছিলেন। ঘটনার দিন, তারা দুজনেই হোটেলে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিল।
পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এএসপি মায়াঙ্ক পাঠক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ হোটেল অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং মামলার গভীর তদন্ত চলছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

রোরাওয়ার থানার অন্তর্গত দ্য রয়েল রিট্রিট হোটেলের একটি রুম থেকে একটি ছেলে এবং একটি নাবািলকার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে, স্থানীয় পুলিশ ফিল্ড ইউনিট টিমের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার করেছেন দুজনেই। সম্পর্কের টানাপোড়েন না কি অন্যকিছুর জন্য এই ঘটনা এখনও বোঝা যায়নি। দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- Balarampur Murder Case: আরও এক মুসকান! প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একের পর এক চাকুর কোপ স্বামীকে, তারপর...

সুরাটে ১১ বছর বয়সী ছাত্রকে অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার হয়েছিল।

২৫ এপ্রিল থেকে সুরাট থেকে নিখোঁজ থাকা ২৩ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা এবং তার ১৩ বছর বয়সী ছাত্রীকে বুধবার ভোরে গুজরাট-রাজস্থান সীমান্তের কাছে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বহু রাজ্য তল্লাশির পর রায়গড় গ্রামের কাছে তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে। 

ব্লেড দিয়ে গলা কাটে মুসকান, মুণ্ড আলাদা করে উত্তর প্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুন করে তাঁর স্ত্রী ও প্রেমিক।

সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল সে। সৌরভ ঘুমিয়ে পড়তেই সে সাহিলকে ডাকে। তাঁর সামনেই সৌরভের বুকে তিনবার ছুরি গেঁথে দেয়। এরপরে ধারাল রেজার বা ব্লেড দিয়ে সৌরভের গলা কাটে মুসকান। দেহ টুকরো করার দায়িত্ব ছিল সাহিলের উপরে। সে আরেকটি ছুরি দিয়ে প্রথমে ধড় ও মুণ্ড আলাদা করে। এরপর একে একে হাত-পা আলাদা করে। মোট ১৫ টুকরো করা হয় দেহের। তারপর নীল রঙের ড্রামে ভরে তার মধ্যে সিমেন্ট ঢেলে সিল করে দেয়।

আরও পড়ুন- Pahalgam Terror Attack effect on Pakistan: ভারতের ভয়ে কাঁপছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী! কোন ঘটনায় সেই 'বীর' হলেন বেড়াল?

এছাড়াও উত্তর প্রদেশের বলরামপুর জেলার একটি গ্রামে মিরাটের 'সৌরভ হত্যাকাণ্ডে'র মতো একটি জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বলরামপুর জেলার একটি গ্রামে এক মহিলা তার প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামীকে। মৃতের নাম হরেন্দ্র বর্মা। ২৫ বছর বয়স। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী দুজনকেই।

পুলিশ জানিয়েছে, উমা দেবী আর হরেন্দ্রর চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিগত এক বছর ধরেই তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে যে ওই মহিলা মতের বিরুদ্ধে এই বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের আগে থেকেই উমা দেবীর জিতেন্দ্র বর্মা নামে এক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর স্বামী হরেন্দ্র এই প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। উমা এবং জিতেন্দ্র, নিজেদের পথের কাঁটা সরানোর জন্যই হরেন্দ্রকে হত্যা করেছে। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More