জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করোল বাগের রঘুবীরপুরা ৪৪ নম্বর গলিতে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা।
পুলিস ঘটনাস্থলে। কারণ এখনও অজানা। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাংলার বাসিন্দা। দিল্লিতে তাঁরা সোনার কাজ করতেন। তাঁদের একটি সন্তান আছে, যে গ্রামে থাকে। দিল্লিতে স্বামী-স্ত্রী একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে পুলিস কোন সুইসাইড নোট পায়নি। কিন্তু আর্থিক অনটন এবং অসুস্থতার জন্য এই আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিস। ইতোমধ্যে, পুলিস ওই দেহদুটি পোস্টমর্টেমে পাঠিয়েছে। পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত করছে, খতিয়ে দেখছে, পরিবারের কারও কাছে, এই আত্মহত্যার কোনও আভাস ছিল কি না।
দুপুর আনুমানিক ১টা নাগাদ দিল্লি পুলিশকে এই খবর জানানো হয়েছিল।
মনে করা হচ্ছে তারা পরিযায়ী শ্রমিক। সোনার কাজ করত ভিনরাজ্যে। সারা দেশে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে, রাজ্য ছেড়ে, দেশ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এক পরিযায়ী দম্পতির রহস্যমৃত্যু সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলা বিদ্বেষী মনোভাব যেন আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
সারা দেশে বাংলাভাষীদের উপর যখন আক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে, তখন দিল্লিতে এফ পরিযায়ী দম্পতি কোনও হেনস্থার মুখে পড়েছিল কি না তা নিয়েও তদন্ত চলছে। সুইসাইড নোট না থাকার জন্য এই ঘটনার রহস্য বাড়ছে। বাংলায় কথা বললেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে সারা দেশে, সেখানে এই দম্পতি এরকম কোনও ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে এই জুলাইতেই একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে বিকাশ নামে এক যুবক আত্মঘাতী হন। তিনি ছিলেন ঋণগ্রস্ত। তিনি ঋণের বোঝায় জর্জরিত। আর তাই তাঁর স্ত্রী তাঁদের ৪ বছরের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। আর এই সময়ের মধ্যে তাঁর স্ত্রী শাকিব নামে একজনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্ত্রী। এই অভিযোগে আত্মঘাতী হয়েছেন দিল্লির নিহাল বিহার এলাকার বাসিন্দা বিকাশ নামে এক যুবক।
অন ক্যামেরা এসে বিকাশ নামে ওই যুবক আত্মঘাতী হন। আত্মঘাতী হওয়ার আগে ওই যুবক একটি ভিডিয়ো বার্তাও দেন। যেখানে তিনি তাঁর ছেলের কথা বলেছেন। বিকাশের আর্জি, তাঁর ছেলের 'কাস্টডি' মানে হেফাজতের অধিকার যেন কোনওভাবেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা না পায়। বাবার অবর্তমানে তাঁর ছেলেকে যেন তাঁরা বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর বাবা, মা, ভাই, বোনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর ছেলেকে।
গতকাল আমদাবাদের সোম ললতি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রীর চরম পদক্ষেপ। টিফিন টাইমে স্কুলের হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে সকলে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ওই দিন রাতে সে মারা যায় বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১২.২৭ নাগাদ ওই ছাত্রী স্কুলের চারতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। তার বন্ধু তাকে থামানোর চেষ্টা করার আগেই সে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। দশম শ্রেণীর ছাত্রী ওই কিশোরী পাঁচ বছর ধরে স্কুলে পড়াশোনা করছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত, আঘাত এবং একাধিক ফ্র্যাকচার ছিল। প্রথমে তাকে EMRI 108 অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তার বাবা-মা তাকে থালতেজের অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন, যেখানে সে ওই দিনই রাত ১০টায় মারা যায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)