Home> দেশ
Advertisement

যোগী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের শেষকৃত্যে হাত বাড়িয়েছে ওঁরা, যেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ধর্ম

তারা সকলেই PPE কিট পরা। যার আবরণে, ঢাকা পরে গিয়েছে ধর্ম। নীল বরাভয়ে সাহায্যে জন্য এগিয়ে রয়েছে শুধু হাত দুটি।

যোগী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের শেষকৃত্যে হাত বাড়িয়েছে ওঁরা, যেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ধর্ম

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার সামনে মাথা নুয়েছে কি ধর্মের ধজা? একাংশের কথায় করোনায় জেরবার দেশে এখন একজনই ভগবান, মানুষ। যে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে, তাঁর মধ্যেই ভগবানকে দেখছেন বাকিরা। একটা বেড যে জোগার করে দিচ্ছে, যে অক্সিজেনের সিলিন্ডারটা হাতে তুলে দিচ্ছে, যে শেষকৃত্যের জন্য কাঁধে হাত রেখে সমস্তটা সামলে দিচ্ছে, মহামারীতে সেই ভগবান। 

ইন্টারনেটে একদল মুসলিম ধর্মের নতুন প্রজন্ম জিতে নিয়েছে মন। তাঁরা রমজান মাসে, হিন্দু ধর্মের কোভিড আক্রান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। 

তারা সকলেই PPE কিট পরা। যার আবরণে, ঢাকা পরে গিয়েছে ধর্ম। নীল বরাভয়ে সাহায্যে জন্য এগিয়ে রয়েছে শুধু হাত দুটি। যাঁরা করোনার সঙ্গে লড়াই করতে আর পারল না। দায়িত্বসহকারে তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করছে ওঁরা। দেখা গেল, এদের মধ্যেই কেউ আবার ভেঙে পরা পরিবারের কাঁধে হাত রেখে লড়াই করার রসদ জোগাচ্ছে।    

এঁরা কারা? 

৩৩ বছরের ইমদাদ ইমান, ইনি একটি স্টোরের মালিক, আরেক জন গ্রাফিক ডিজাইনার। দু-জনেই লখনউয়ের মাকবারা গোলগঞ্জের বাসিন্দা। এরকমভাবেই বিভিন্ন পেশা থেকে আসা ২২ জনের দল এটি। যাঁরা ৭ টি শ্মশানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই ২২ জনের দলে রয়েছে হিন্দুও।  তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০ জন মুসলমানকে কবর দিয়েছে। 

কিছু ক্ষেত্রে বাড়ির সকলেই করোনায় আক্রান্ত। যার মধ্যে একজন মারা গিয়েছে। তখন এই দল সেই যথা জায়গা থেকে দেহ নিয়ে এসে শেষকৃত্য সম্পন্ন করছে। ইমদাদ জানিয়েছেন, দেহ নিয়ে পরিবারের লোক আসছে না, নয় হাসপাতালের নয় কোনও স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে আসছেন। সে ক্ষেত্রেও তারাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ সারছে। 

জানা গিয়েছে, ইমাম গত বছর কোভিড -১৯ তাদফীন (দাফন) কমিটি শুরু করেছিলেন।

তিনি বলেন,  “২১ শে এপ্রিল, আমরা সীতাপুর রোডের ভারত নগর থেকে একটি ফোন পেয়েছিলাম,  একা বসবাসকারী এক মহিলা কোভিডের কারণে মারা গিয়েছেন এবং তাঁর মৃতদেহ তিন দিন ধরে পড়ে আছে। যখন দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, তখন জানাজানি হয়। তারপর আমরা কয়েকজন গিয়েই শেষকৃত্য করি। "

Read More