নতুন দিল্লি: ইবোলা। এই একটা নামেই এখন কার্যত আতঙ্কে কাঁপছে পশ্চিম আফ্রিকার একাধিক দেশ। চারটি দেশে এখনও পর্যন্ত ৯৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সতর্ক নয়াদিল্লি। ভারতে যাতে এই রোগ ঢুকে পড়তে না পারে সেজন্য শুরু হয়েছে নজরদারি। বিদেশ থেকে আসা প্রতিটি বিমানের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
জ্বর, দুর্বলতা, পেশিতে টান, মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা আর মুখের ভিতর ঘা। আর এরপরই হরহর করে বমি, ডায়েরিয়া, গায়ে র্যাশ। ক্রমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া। আর সবটাই ঘটে যায় অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। এমনই ছোবল ইবোলা ভাইরাসের। থাবা বসিয়েছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাডছে মৃত্যুও।
কিন্তু কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ব্যাধি? চিকিত্সা বিজ্ঞান বলছে, আক্রান্তের শরীরের কোনওরকম তরল পদার্থের সংস্পর্শেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। নাইজেরিয়া, গিনি আর লাইবেরিয়া সিয়েরা লিওনেতেই সবথেকে বেশি মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে ইবোলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিকস্তরে জরুরি পরিস্থিতির সতর্কতা জারি করেছে। একাধিক দেশ তাদের নাগরিকদের আফ্রিকার আক্রান্ত দেশগুলিতে যেতে নিষেধ করেছে। কিন্তু, তাতেই কি রোখা যাবে ইবোলাকে? কারণ, ওইসব দেশ থেকে বহু মানুষই বিমানে অন্যদেশে যাতায়াত করছেন। ভারতীয় এক নাগরিকও ইবোলা আক্রান্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে বিমানে সফর করেছেন বলে নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে হু। খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আক্রান্ত দেশগুলি থেকে বিমানে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে বিমানবন্দরেই। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে। রাখা হয়েছে একজন নোডাল অফিসারকেও। আফ্রিকার আক্রান্ত দেশে আপাতত সফর করতে নিষেধ করা হয়েছে
খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। সেগুলি হল- 23063205, 23061469 এবং 23061302
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তো বলেই দিয়েছে, আফ্রিকার আক্রান্ত চারটি দেশ একা এই রোগ মোকাবিলা করতে পারবে না।সতর্কতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চের এগিয়ে আসা জরুরি বলে জানিয়েছে হু।