জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নরেন্দ্র মোদী সরকারের অধীনে বিগত ১০ বছরে ভারতীয় রেলপথে বিরাট বদল এসেছে। রেলপথের ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন থেকে শুরু করে স্টেশনগুলির পুনর্নির্মাণ। সরকার এমন অনেক প্রকল্প চালু করেছে যা এই সেক্টরের চেহারাই বদলে দিয়েছে। এক্সপ্রেস গতির ট্রেন বলতে আগে ছিল শুধুই রাজধানী-শতাব্দী-দুরন্ত। তবে বিগত দশকে জুড়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
শতাব্দী এবং রাজধানীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের তুলনায় বন্দে ভারতের ভাড়া ৩৩ শতাংশেরও বেশি। যদিও বন্দে ভারতে সর্বাধিক ভাড়া, তবুও এটি ভারতীয় রেলের জন্য সর্বাধিক আয়ের পরিবর্তে দ্বিতীয় স্তরের রাজস্ব উৎপাদনকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেনের সর্বোচ্চ বেগ ১৮৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (১১৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা) হলেও রেলপথ ও ট্রাফিকের সীমাবদ্ধতায় সর্বোচ্চ বেগ দিল্লি–ভোপাল রেলপথে ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৯৯ মাইল প্রতি ঘণ্টা) এবং অন্যান্য রেলপথে ১১০–১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৬৮–৮১ মাইল প্রতি ঘণ্টা) রাখা হয়েছে। সেমি হাই-স্পিড ট্রেন পরিষেবা যাত্রীদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকেই আলাদা মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের এই ফেভারিট ট্রেনই হয়ে গিয়েছে রেলের গেমচেঞ্জার। সারা দেশে ১১৪টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি ছাড়া, এই ট্রেনগুলি প্রায় প্রতি রাজ্যেই চলে।
আরও পড়ুন: মুম্বই-আমদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেন ছুটবে কবে, জানালেন রেলমন্ত্রী, সর্বোচ্চ গতি কত?
সর্বাধিক রাজস্ব
যদিও খালি চোখে মনে হতে পারে যে, বন্দে ভারত দেশের শীর্ষ রাজস্ব উৎপাদনকারী ট্রেন। তবে তা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, বেঙ্গালুরু রাজধানী এক্সপ্রেস হল ভারতীয় রেলের জন্য সর্বাধিক উপার্জনকারী ট্রেন। ২২৬৯২ নম্বর ট্রেনটি, হজরত নিজামুদ্দিন (দিল্লি) এবং কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে চলাচল করে।এই ট্রেন বছরে ৫০৯৫১০ জন চাপেন। রেলে আয় করে ১৭৬০৬৬৬৩৩৯ টাকা! মজার বিষয় হল, এটি নয়াদিল্লি বা পুরানো দিল্লি স্টেশন থেকে ছাড়ে না, বরং নিজামুদ্দিন স্টেশন থেকে ছাড়ে! দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ট্রেন চলাচল করে। এই দু'টি রুটই সবচেয়ে ব্যস্ততম। এখানে ট্রেন চলাচলও সর্বাধিক পর্যায়ে। তবে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে তা হল দিল্লি-বেঙ্গালুরু রুটেই।
দ্বিতীয় স্থানে
দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ট্রেন চলাচল করে। এই দু'টি রুটই সবচেয়ে ব্যস্ততম। এখানে ট্রেন চলাচলও সর্বাধিক পর্যায়ে। তবে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে তা হল দিল্লি-বেঙ্গালুরু রুটেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব উৎপাদনকারী ট্রেন হল শিয়ালদহ রাজধানী, যা নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলে। এইভাবে দিল্লির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে যুক্ত করে। এটি ট্রেন নম্বর ১২৩১৪। এটি বছরে ৫০৯১৬৪ জন যাত্রী বহন করে এবং ১২৮৮১৬৯,২৭৪ টাকা রাজস্ব আয় করে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে বন্ধ হতে চলেছে ৫০০ টাকার নোট! কবে থেকে, কী বলছে RBI?
তৃতীয় স্থানে
তিনে রয়েছে নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস। যে ট্রেন রেলকে বছরে ১২৬২৯০৯৬৯৭ টাকা এনে দেয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)