জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাড়িই সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হওয়ার কথা৷ কিন্তু রাজস্থানের এক কিশোরীর জন্য তা যেন নরক হয়ে উঠেছিল। বাবার হাতেই প্রতিদিন নিগৃহীত হত কিশোরীর শরীর৷ কিন্তু উদ্ধারকারীদের সাহায্যে পালিয়ে এলেও লাভ হয়নি। সেই দুই ব্যক্তির কাছেও ধর্ষিত হতে হয় তাকে৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
রাজস্থানের বারান পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, নিজের ১৩ বছরের মেয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন ৬৮ বছরের বাবা। সেই সময় দুই ব্যক্তি ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করতে আসেন। নাবালিকা অবশ্য জানতেন না বাড়ির নারকীয় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেয়েও বদলাবে না জীবন। ২৬ জুন পুলিসের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে ওই কিশোরীর পরিবার। বলা হয় ২২ জুন থেকে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷
এরপরই নিখোঁজ তদন্ত শুরু করে পুলিস। ৩০ জুন ওই নাবালিকার হদিশ পান তাঁরা। পুলিসকে নাবালিকা জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে তার বাবা যৌনাচার করে চলেছে। এমনকী এই ঘটনার কথা যদি জানাজানি হয় তাহলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর আগেই তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভালবাসার আশ্রয় খুইয়ে বাবার কাছেই থাকতে হত তাকে।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরী পুলিসকে জানায়, এক ২৯ বছর বয়সি যুবক সেই অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে। ২২ জুন তার হাত ধরেই বাবার এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে পালিয়ে যায়। কিন্তু উদ্ধারকর্তা এবং আরও এক ব্যক্তি তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত বাবা এবং দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবারই তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Woman loots boyfriend: কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ-মারধর, যুবককে হাইওয়েতে নগ্ন অবস্থায় ফেলে পালাল প্রেমিকা!