Home> দেশ
Advertisement

আরবের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ সাহায্যের খবর পেয়েছি: বিজয়ন

আমিরশাহির অনুদানের খবর কোথা থেকে পেলেন পিনারাই বিজয়ন? শুক্রবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করে বিজেপি। 

আরবের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ সাহায্যের খবর পেয়েছি: বিজয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদন: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কি সত্যিই ৭০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল? এনিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সকালেই জানা গিয়েছে, এই ধরনের কোনও প্রস্তাব তারা দেয়নি বলে স্পষ্ট করেছেন সে দেশের রাষ্ট্রদূত। তাহলে এই খবর কোথা থেকে পেলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী? শুক্রবার পিনারাই বিজয়ন জানালেন, দুই দেশের নেতাদের কাছ থেকেই এমন খবর পান তিনি। 

বিজয়ন বলেন,''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। বিষয়টি হল, তা কি গ্রহণ করা হবে! আর্থিক সাহায্য নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি''।   

আমিরশাহির অনুদানের খবর কোথা থেকে পেলেন পিনারাই বিজয়ন? শুক্রবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করে বিজেপি। কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি পিএস শ্রীধরন পিল্লাই বলেন,''কোথা থেকে খবরটি পেয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে বিজয়নকে। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার''।'

মধ্যপ্রাচ্যের এক ব্যবসায়ীই তাঁকে আমিরশাহির প্রস্তাবের ব্যাপারে বলেছেন বলে দাবি করেছেন বিজয়ন। তাঁর কথায়,''আমিরশাহির শাসকদের সঙ্গে উনি দেখা করেছিলেন ব্যবসায়ী এমএ ইউসুফ আলি। উনিই আমায় একথা বলেছেন। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এটা কি প্রকাশ্যে বলতে পারি। উনি সম্মতি দিয়েছিলেন''।  

যোগসাজশের অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, ''বিদেশি দেশের অলীক অনুদান নিয়ে উত্সব করে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে বামপন্থী ও ইসলামিকদের আঁতাঁত। আদর্শগত বিভেদের কারণে সেবাভারতীর মতো সংস্থার অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে কেরল''।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত আহমেদ আলবানা একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন, ''আর্থিক সাহায্য নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। বন্যার পর কত ত্রাণ দরকার, তা নিয়ে এখনও পর্যালোচনা চলছে। তার আগে কোনও আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ চূড়ান্ত করা উচিত নয়''। 

প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে কোনও অনুদান দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশ ও সরকারের কাছ থেকে ত্রাণ ও অর্থ সহযোগিতার প্রস্তাব এসেছে। তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভারত সরকার। তবে বর্তমান নীতি অনুযায়ী বিদেশ থেকে ত্রাণ বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে পারবে না কেন্দ্র। তবে অনাবাসী ভারতীয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা আন্তর্জাতিক সংগঠনের তরফে সাহায্য এলে, তা স্বাগত। 

আরও পড়ুন- বিপ্লবের কড়া পদক্ষেপে বন্ধের পথে গাঁজা চাষ, বিকল্প পেশার খোঁজে চাষিরা

 

Read More