নিজস্ব প্রতিবেদন: এখন গোটা দেশে তিন দিনে রোগী বাড়ছে এক লাখ। করোনা সংক্রমণের গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী তখন চিন্তা আরও বাড়াল কেরল। উপকূল এলাকায় শুরু হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। কারণ, খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই পিনারাই বিজয়ন স্বীকার করেছেন, শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজার কথায়,''কেরলের ৮৪টি চিহ্নিত এলাকায় ৫০ শতাংশের উপরে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু তার বাইরে সংক্রমণ ১০ শতাংশ।''
স্বাস্থ্যসূচকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের তুলনায় বরাবরই কেরল এগিয়ে। দেশে প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মেলে কেরলেই। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দাবি করে কেরল মডেল নিয়ে চলে জোর প্রচারও। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও শুরু হয়ে যায় আলোচনা। কিন্তু, আনলক পর্বে ছবিটা বদলে গেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রকাশ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নেওয়ায় তৈরি হয়েছে বড় আশঙ্কা। তিনি জানিয়েছেন, উপকূলীয় জেলা তিরুবনন্তপুরমে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের কাছে পুনথুরা শহরতলি এবং জেলার পুল্লুভিলা গ্রামে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। উপকূল কেরালায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
যদিও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি, কিছু এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ বেড়েছে। তবে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। যদি তা শুরু হয়, তাহলে স্বাস্থ্য বিধিতে বদল করা হবে।কেরালায় করোনা আক্রান্ত প্রায় এগারো হাজার। মৃত প্রায় চল্লিশ। যা অন্য অনেক রাজ্যের তুলনাতেই কম। কিন্তু, গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি বাড়ায় গোষ্ঠী সংক্রমণ ধরে নিয়েই এগোচ্ছে কেরল সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেন,''কেরলের ৮৪টি ক্লাস্টারে ৫০ শতাংশের উপরে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। কিন্তু তার বাইরে সংক্রমণ ১০ শতাংশ। ক্লাস্টারের বাইরে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তা দেখতে হবে।'' উপকূলীয় এলাকায় লকডাউন করে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা চলছে বলেও জানান শৈলজা।
কেরলের মতো জনস্বাস্থ্যে লেটার মার্কস পাওয়া রাজ্য গোষ্ঠী সংক্রমণের শিকার হলে অন্য রাজ্যগুলির হাল কী হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরাও। সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে র্যানডাম টেস্টে ৫০% পজিটিভ রিপোর্ট এলে কিংবা অনেকের ক্ষেত্রেই অসুখের উত্স কী, তা ধরা না গেলে, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে বলে মনে করেন চিকিতসকরা।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: অমরনাথে বরফানি বাবার পুজো দিলেন রাজনাথ সিং, সঙ্গী সেনাপ্রধান