জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বামীর নৃশংস হত্যার চেষ্টা বিফলে গেল স্ত্রীর। এত কষ্ট করে পরিকল্পিত খুনের যে শেষরক্ষা হয়েও হবে না একথা ঘুণারক্ষেও ভাবেননি তিনি। পেছনে রয়েছে এক টুইস্ট। উত্তর প্রদেশের বরেলিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার পর এক ব্যক্তিকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজীব নামে ওই ব্যক্তি একজন চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। এক অচেনা ব্যক্তি তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায়উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে ইজ্জতনগর থানা এলাকার অন্তর্গত। অভিযোগ, রাজীবের স্ত্রী সাধনা এই হত্যার ছক কষেন এবং তাঁর পাঁচ ভাই ভগবান দাস, প্রেমরাজ, হরিশ ও লক্ষ্মণ-সহ একটি দলবল ভাড়া করে এই হামলার পরিকল্পনা করেন। ২১ জুলাই রাতে মোট ১১ জন রাজীবের বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁরা রাজীবের একটি হাত ও পা ভেঙে দেয়। পরিকল্পনা ছিল তাঁকে জীবন্ত কবর দেওয়ার। সে কারণেই তাঁকে সিবিগঞ্জ এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে একটি গর্ত খোঁড়া হয়।
কিন্তু ভাগ্য অন্য কিছু ভেবেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে এক অচেনা ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হওয়ায় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। গভীর যন্ত্রণা ও হাড় ভাঙা অবস্থায় রাজীব চিৎকার করতেও পারছিলেন না। তবে ওই ব্যক্তি তাঁকে দেখতে পান ও সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। রাজীবকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাণে বেঁচে যান তিনি এবং এখন চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
রাজীবের বাবা নেতরাম তাঁর পুত্রবধূ ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর একটি মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগে তিনি বলেন, তাঁরা তাঁর ছেলেকে খুন করতে চেয়েছিল। তিনি হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। রাজীব বরেলির নবোদয় হাসপাতালে এক চিকিৎসকের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ২০০৯ সালে সাধনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে—যশ (১৪) এবং লভ (৮), দুজনেই একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। রাজীবের পৈতৃক গ্রামে একটি বাড়ি ছিল, তবে তিনি ও তাঁর স্ত্রী শহরে থাকতেন। নেতরামের দাবি, তাঁর পুত্রবধূ গ্রামে থাকতে চাইতেন না বলেই রাজীব শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)