ওয়েব ডেস্ক: এ দেশের কৃষকদের দূরাবস্থা ঠিক কতটা আরও একবার প্রমাণিত হল। পাঁচ সন্তানের মুখে খাবার যোগাতে অক্ষম। খরা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের কৃষক পরিবারের এক মা তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ।
পেশায় কৃষিজীবী ওসামানবাদের বাসিন্দা মণীষা ঘটকল শনিবার নিজের বাড়িতেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সেই সময় দেশের বাকি অংশ ব্যস্ত ছিল রাখী উৎসব নিয়ে।
মায়ের মৃত্যুতেও বদলায়নি চিত্রটা। এখনও আম্বি গ্রামে মণীষা ঘাটকলের বাড়ির প্রত্যেকটা পাত্রই শূন্য। খাবারের জন্য একটি শস্য দানাও নেই।
''আমরা অত্যন্ত গরীব। আমাদের কোনও খাবার নেই। আমার কোনও কাজ নেই। আমি কাজ খুঁজতে বাইরে গিয়েছিলাম। এসে দেখালাম ও নিজেকে মেরে ফেলেছে।'' মন্তব্য করেছেন মণীষার স্বামী লক্ষ্মণ।
মণীষার এক আত্মীয় জানিয়েছেন যেটুকু রেশন পাওয়া যায় সেটা যথেষ্ট নয়। ''১৮ কেজি গম আর ১২ কেজি চাল সাত জনের পরিবারের জন্য অত্যন্ত কম। ১২ দিনের বেশি এই পরিমাণ রেশনে দিন কাটানো অসম্ভব।'' জানিয়েছেন ওই আত্মীয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমপ্লোয়মেন্ট স্কিমেও ওই গ্রামের একজন কৃষকেরও কোনও কাজ নেই। অথচ নিয়ম অনুযায়ী সুরক্ষিত হওয়ার কথা ছিল প্রত্যেকের জীবিকা।
মণীষার ভগ্নীপতি ''যদি এনআরইজিএ-প্রকল্পের অধীনে কাজ পাওয়ার কথা ছিল লক্ষ্মণের। আজ সে কাজ পেলে ওদের টাকা থাকত। আর মরতেও হত না মণীষাকে।''
গত তিনবছর ধরেই খরার কবলে মহারাষ্ট্রের মরাথওয়াড়া অঞ্চল। ২০১৪ সালে এই অঞ্চলে আত্মহত্যা করেছেন ৫৭৪ জন কৃষক।