Home> দেশ
Advertisement

Lucknow: 'পাপা তোমাকে ভালোবাসে...', মেয়েকে আদর দিয়ে শ্বশুরবাড়ির নারকীয় অত্যাচারে যুবকের শেষযাত্রা...

Lucknow Man Death: স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির নারকীয় অত্যাচার। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একমাত্র আদরের তিন বছরের মেয়েকে। যৌতুকের চাপে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগী বিষ্ণু। চরম পদক্ষেপ নিয়ে জীবন থেকে সরলেন তিনি। 

Lucknow: 'পাপা তোমাকে ভালোবাসে...', মেয়েকে আদর দিয়ে শ্বশুরবাড়ির নারকীয় অত্যাচারে যুবকের শেষযাত্রা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  স্ত্রী মারা গিয়েছে। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আর এক যন্ত্রণা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির নারকীয় অত্যাচার। পণ চেয়ে যুবকের জীবন নাজেহাল করে তুলেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

শ্বশুরবাড়ির যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে যুবক। ঘটনাটি ঘটে, লখনউয়ের বীরবল সাহনি মার্গ এলাকায়। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে তিন পাতার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। যেখানে ভুক্তভোগী ব্যক্তি বিষ্ণু কামতা প্রসাদ বর্মা তার মৃত্যুর জন্য শ্বশুর, শাশুড়ি, ভগ্নিপতি ও ভগ্নিপতির স্ত্রীকে দায়ী করে গিয়েছেন। 

আরও পড়ুন:Jagannath Rath Yatra Stampede: পুরীতে বিশৃঙ্খলার দায় কার! রথযাত্রায় প্রাণহানির জেরে শাস্তি পেলেন SP আর DM...

চিঠির শেষে আবেগী হয়ে বিষ্ণু তাঁর মেয়েকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, 'ঋদ্ধিমা, পাপা তোমায় খুব ভালোবাসত এবং চিরকাল ভালোবাসবে।' সুইসাইড নোট অনুযায়ী, বিষ্ণুর স্ত্রী শালিনী সোনি অসুস্থতার কারণে মারা যান। তবে তাঁর মৃত্যুর পর, স্ত্রীর পরিবার বিষ্ণুর বিরুদ্ধে পণ-সংক্রান্ত মৃত্যুর মামলা দায়ের করে।

বিষ্ণু লেখেন, এই ঘটনার পর তিনি চরম মানসিক নির্যাতনের শিকার হন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর জমির হাতানোর জন্য চাপ দিতে থাকে। চিঠিতে বিষ্ণু বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী কোন কোন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি লেখেন, 'ও স্কিন ডিজ়িজ় আর আলসারের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু ওঁর অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছিল না।একটা রোগ কমলে আরেকটা শুরু হয়ে যেত।'

তিনি আরও দাবি করেন, স্ত্রীকে লখনউয়ের বাইরেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তবুও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হতে থাকে এবং শেষমেশ তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:Uttarakhand Cloud Burst: বন্ধ হয়ে গেল চারধাম যাত্রা! ভয়ংকর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মর্মান্তিক মৃত্যু, নিখোঁজ...

বিষ্ণু লেখেন, শালিনীর মৃত্যুর পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁদের একমাত্র তিন বছরের মেয়ে ঋদ্ধিমাকে নিয়ে চলে যায়। এমনকী মেয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ পর্যন্ত করতে দেননি। সুইসাইড নোটে তিনি অনুরোধ করেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর যেন ঋদ্ধিমার হেফাজত তাঁর মা ও বোনের হাতে দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শালিনীর আলমারিতে রাখা গয়নাগুলি নিয়ে চলে গিয়েছেন।

বিষ্ণু আরও লেখেন, 'স্ত্রীর মৃত্যুর পর আমি একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলাম। আর আমার একমাত্র ভরসা, আমার তিন বছরের মেয়েটাকেও আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।' তিনি দাবি করেন, পণের নাম করে লাগাতার চাপ ও ব্ল্যাকমেলের কারণেই তিনি এই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।

সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে মহানগর থানার পুলিস ভারত সোনি, মমতা সোনি, সন্তোষ সোনি ও আকাশ সোনির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More