জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোটা ক্লাসে একজনই ছাত্র। সে-ও ফেল করে গেল বোর্ড পরীক্ষায়। অবিশ্বাস্য ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে নৈনিতালে। উত্তরাখণ্ডে শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়াবহ ঘটনা। সেখানে পাশের হার শূন্য শতাংশ।
কেন?
একজন ছাত্র
নৈনিতালের এই গভর্মেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ত একজন ছাত্রই। সে পাশ করতে পারেনি। তাই পাশের হার শূন্য শতাংশ। সে পাশ করলে পাশের হার হত ১০০ শতাংশ। স্কুলে ৭ জন শিক্ষক। ওখালকান্ডা ব্লকের ভদ্রকোটের এই স্কুলে মাত্র ১ জন পড়ুয়া। গত ১৯ এপ্রিল এখানে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই এই অবিশ্বাস্য খবরের জন্ম।
৭ জন শিক্ষক
মোট ৭ জন শিক্ষক এখানে আর্টস, অঙ্ক, বিজ্ঞান, হিন্দি, ইংরেজি ও সোশ্যাল সায়েন্স পড়াতেন। এর মধ্যে আর্টসের শিক্ষক সম্প্রতি অন্য়ত্র বদলি হয়ে গিয়েছেন।
এই স্কুলটি পড়ুয়াসংখ্যার দিক দিয়ে বরাবরই ধোঁকে। ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেন-- আগের শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ৭জন পড়ুয়া ছিল। ক্লাস সিক্স ও ক্লাস সেভেনে দুজন করে পড়ুয়া, ক্লাস এইট, নাইন ও টেনে একজন করে ছাত্র।
৭৪১ নম্বর
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেখানেও নানা রকম রেজাল্টের কাহিনি। উঠে এসেছে কৃতিত্বের নানা গল্প। দারিদ্র্য কখনও স্বপ্নকে আটকে রাখতে পারে না-- জীবন্ত প্রমাণ পূর্ব মেদিনীপুরের গিমাগেড়িয়া ওয়েলফেয়ার হাই মাদ্রাসার ছাত্র আক্রাম আলী খান। মধ্যমিকে হাই মাদ্রাসা বোর্ডে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে আক্রাম-- ৭৪১ নম্বর পেয়ে সে জেলায় প্রথম হয়েছে। এই কৃতিত্বের পেছনে আছে তার অসীম পরিশ্রম, অদম্য মানসিকতা এবং এক দরিদ্র দিনমজুর বাবার আত্মত্যাগ। আক্রামের বাবা আকবর আলী খান একজন দিনমজুর। বাড়ি কাঁথি থানা এলাকার গোবিন্দ বেরাবাড়। ছেলের ভবিষ্যৎ গড়তে তিনি ওভারটাইম কাজ করেছেন, দিনের পর দিন না খেয়ে পরিশ্রম করেছেন, শুধুমাত্র একটি স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য-- আক্রাম একদিন বড় মানুষ হবে। সেই ছেলেই আজ নিজের যোগ্যতায় মধ্যমিকে নজর কেড়েছে গোটা জেলার।
৯৩ শতাংশ
একই গল্প মালদায়। প্রতিকূলতার কাছে হার মানেনি মালদার চাঁচোলের সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউটের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রুদ্রনীল দাস। মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৩, অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ। চাঁচোল সদরের বাসিন্দা রুদ্রনীল অভাবী পরিবারের ছেলে। তার বাবা দীপক দাস বেসরকারি বাসের টিকিট বুকিং কাউন্টারের কর্মী। চাঁচোল বাসস্ট্যান্ডে খোলা আকাশের নীচে বেঞ্চ ও টেবিল পেতে রোজ টিকিট বুকিং করেন তিনি। রুদ্রনীলের বাবা দীপক দাস সামান্য আয়ের জন্য ছেলেকে সব বিষয়ের টিউশন দিতে পারেননি। তবুও রুদ্রনীল নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে। রুদ্রনীলের এই নজরকাড়া সাফল্যে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত তার পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবাকও তাঁরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)