জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডাক্তারকে ধর্ষণ (for raping doctor) এবং সেই অকথ্য ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার (sharing private videos of incident on social media) করার অপরাধে খড়্গপুর পুলিস (Kharghar Police) অভিযুক্ত পুণের বাসিন্দা (resident of Pune) আনন্দ গাতেই (Anand Gatey)-কে গ্রেফতার করেছে।
কী ঘটনা?
পুলিস জানাচ্ছে, বছরআঠাশের ওই ডাক্তার আনন্দের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। গত বছর এপ্রিলে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তাঁর পরিচয় অভিযুক্তের সঙ্গে। পরে তাঁরা খড়্গপুরে দেখা করেন। সেখানেই ঘটে মারাত্মক ঘটনা। সেখানে ওই ডাক্তারকে জোর করে সফ্ট ড্রিংক খাওয়ায় অভিযুক্ত, পরে তাকে সাতারার একটি লজে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে সে। এবং পুরো বিষয়টির ভিডিয়োও তুলে রাখে।
হয় সঙ্গম-সুযোগ, নয় ভিডিয়ো-প্রকাশ
শুধু তাই নয়, গাতেই বারবার নির্যাতিতাকে হুমকি দিয়েছে এই মর্মে যে, এটা যেন প্রকাশ না পায়। শুধু তাই নয়, সে বারবার তার থেকে যৌনসঙ্গমের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানায়। না হলে এই ভিডিয়ো সে প্রকাশ করে দেবে ভয় দেখায়। কিন্তু ওই ডাক্তার মহিলা সেই কথায় রাজি না হতেই, ওই অভিযুক্ত তাদের ব্যক্তিগত ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেয়। এর পরই ডাক্তার থানায় যান এবং একটি অভিয়োগ দায়ের করেন।
অন্য এক ঘটনায়
মুম্বইতেই অন্য একটি ঘটনা ঘটেছে। ২৬ বছরের এক তরুণ তাঁর বাগদত্তা তাকে বিয়ে করতে না চাওয়ায় তাঁকে খুন করতে উদ্যত হয়। সোমবার মুম্বইয়ের ধারাভিতে এই ঘটনাটি ঘটে।
ভয়ংকর বিহার
এদিকে একদিন আগেই বিহারের এক ভয়ংকর ঘটনা সামনে আসে। পটনা চণ্ডীগড় সামার স্পেশাল ট্রেনে কয়েকজন হকার ট্রেনের টয়লেটের মধ্যে থেকে শিশুর কান্না শুনতে পান। টয়লেটে গিয়ে তাঁরা দেখেন একটি ব্যাগের ভিতরে এক নবজাতক। সাংঘাতিক ব্যাপার! কী হবে? সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা টিটিই-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে ট্রেনের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয় সেই নবজাতককে। চিকিৎসার জন্য নবজাতককে মোরাদাবাদেই ট্রেন থেকে নামানো হয়। পরে শিশুটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে রাখা হয়। কিন্তু কে বা কারা রেখে গেল? কেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেই বিস্মিত পুলিস। মোরাদাবাদে পাওয়া নবজাতকের পিতা-মাতার খোঁজ করতে গিয়েই পুলিসের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। নবজাতকের বাবা-মায়ের খোঁজে তারা বিহারে পৌঁছে গেল। আর তখনই সামনে এল এক ভয়ংকর ঘটনা। স্বয়ং বাবার যৌনলালসার শিকার তার নাবালিকা কন্যা!
২২ জুন জন্ম নবজাতকের
কী জানা গিয়েছে? ২২ জুন ওই নবজাতকের জন্ম হয়। বিহার থেকে ওই নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য দিল্লি নিয়ে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের লোকজন। বারাণসীর কাছে ট্রেনের টয়লেটেই সন্তান প্রসব করে ওই নাবালিকা। তখন পরিবারের লোকজন সদ্যোজাত শিশুপুত্রকে ব্যাগে ভরে অন্য একটি ট্রেনের টয়লেটে রেখে আসেন। সেই ট্রেনটিই ছিল পটনা চণ্ডীগড় সামার স্পেশাল ট্রেন। সেই ট্রেনে কয়েকজন হকার টয়লেটের মধ্যে থেকে শিশুর কান্না শুনতে পেয়েছিলেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয় শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ। পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যাগ থেকে একটি সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছিল। সেই সিম কার্ডের সূত্র ধরেই একজনের নাগাল পাওয়া যায়। পুলিস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ওই নবজাতক তাঁর এক আত্মীয় নাবালিকার সন্তান। বিহারের ছাপরায় ওই নাবালিকার বাড়ি। সেই সূত্রটুকু আঁকড়েই আরও বিস্তৃত তদন্তে নেমে পড়ে পুলিস। আর তখনই নাবালিকার বাবার নৃশংসতার কথা জানতে পারা যায়।
মদ্যপান ও সঙ্গম
ঠিক কী ঘটেছিল? নাবালিকা জানিয়েছে, তার বাবা মদ্যপান করে। মদ্যপ অবস্থাতেই সে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। আর এর ফলেই সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই নাবালিকা তার মা ও দিদিকে পুলিস মোরাদাবাদ নিয়ে আসে। সেখানে নাবালিকা লিখিতভাবে জানায়, শিশুটিকে প্রতিপালন করার ক্ষমতা তার নেই। নাবালিকার শিশুটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে রাখা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)