ওয়েব ডেস্ক: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু নাকি ১৯৬০ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। নাম ছিল কে. কে. ভান্ডারি। এবং তিনি থাকতেন উত্তর বঙ্গের শালুমারি আশ্রমে। এমনই দাবি সদ্য প্রকাশিত একটা 'রিপোর্টে'।
'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'র একটি রিপোর্ট আনুসারে, নেতাজি সংক্রান্ত যেসব ফাইল গত ২৭শে মে প্রকাশ্যে এসেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে যে ১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্তরে 'ভান্ডারি'-র পরিচয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছিল।
প্রসঙ্গত ১৯৬০ সাল নাগাদ সারা দেশ জুড়ে গুজব রটে যে শালুমারি বাবাই হলেন আসলে নেতাজি। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে যে ১৯৬৩ নাগাদ এই বিষটিতে তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই আশ্রমেরই সম্পাদক রমনি রঞ্জন দাস।
এই বিষয়টি নিয়ে প্রধান মন্ত্রীর মুখ্য ব্যক্তিগত সচিব কে. রাম তদানিন্তন গোয়েন্দা প্রধান বি.এন. মল্লিককে একটি বিশেষ গোপন 'মেমো' পাঠায় ১৯৬৩ সালের ২৩শে মে।
১২ই জুন'১৯৬৩ অত্যন্ত গোপন একটি নোটের মাধ্যেমে কে. কে. ভান্ডারির বিষয়ে উত্তর পাঠায় গোয়েন্দা প্রধান।
এরপর আবার একই বছরের ৭ই সেপ্টেম্বর, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে একটা বিশেষ 'রেফারেন্স' তৈরী হয়। এবং ১৬ই নভেম্বর গোয়ান্দা বিভাগ থেকে তার উত্তর পাঠান হয়। যা একেবারেই গোপনীয়।
এর ৩৭ বছর পর ১৯৯৯ সালে আবারও প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বিষয়টি উঠে আসে যখন নেতাজি মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের জন্য মুখার্জী কমিশন গঠিত হয়।
'টাইমস অফ ইন্ডিয়া', ২০০০ সালের ৫ই জুলাই আন্ডার সেক্রেটারি (এনজিও)র করা একটি নোট উদ্ধৃত করে লিখেছে, "ডিরেক্টর (এ)-এর সঙ্গে যেমন কথা হয়েছিল যেখানে আন্ডার সেক্রেটারি (রাজনৈতিক)-ও উপস্থিত ছিলেন, আমরা আই.বি.-এর থেকে জানতেই পারি যে তারা ১২/৬/১৯৬৩ এবং ১৬/১১/১৯৬৩ তারিখে পাঠান চিঠি দুটির সঙ্গে সহমত কিনা? যে চিঠিগুলো শ্রী কে. রাম পাঠিয়েছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকে, কে. কে. ভান্ডারির ( যাকে সুভাষ চন্দ্র বোস বলে মনে করা হচ্ছে) বিষয়ে।"
যদিও পরবর্তীকালে মুখার্জী কমিশন জানিয়ে দেয় যে কে. কে. ভান্ডারি আদতে নেতাজি নন।
নতুন পর্যবেক্ষণ থেকে এও মনে হতে পারে যে, যদিও শালুমারি বাবা নেতাজি ছিলেন না, কিন্তু তিনি কে. কে. ভান্ডারি হিসাবে আশ্রমে থেকে থাকতেই পারেন।