ওয়েব ডেস্ক: লেট নাইট পার্টি। আকণ্ঠ মদ খাওয়া। বেপরোয়া গতি। টাকার গরমে অন্যকে মাড়িয়ে চলার মানসিকতা। বাবুয়ানার বেয়াদপি দিল্লি, মুম্বইয়ে আকছার ঘটে। কি শুরু হল এই কুসংস্কৃতি?
বাবার টাকা আছে। তাই নির্ভয়ে মদ খাও। গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি কর। টলমল পায়ে গাড়ি চড়। আইনকে কলা দেখাও। পুলিস ধরতে এলে পুলিসকে মার। এই বিষ এখন কলকাতার বাতাসেও। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ঘটনায় সামনে এসেছে বড়লোকের বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের বেয়াদপি।
রেড রোডে ছাব্বিশে জানুয়ারির মহড়া চলছিল। সেই সময় বায়ুসেনা কর্মীকে পিষে দেয় বেপরোয়া SUV। চালকের আসনে শহরের ধনী ব্যবসায়ীর ছেলে।
সেপ্টেম্বরের ঘটনা। সমুদ্রে নামতে বাধা দেওয়ায় মন্দারমণিতে সিভিক পুলিসকে পেটায় দুই মদ্যপ-ভাইবোন। বাবা-মায়ের সামনেই।
আঠারোই সেপ্টেম্বর ভোররাতে হাজরা রোডে যুবককে পিষে দেয় উদ্ধত মার্সিডিজ। তিনদিন পরে গ্রেফতার হয় গাড়ির মালিক। শহরের নামী শিল্পপতির ছেলে।
পার্ক স্ট্রিটে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীকে পেটাল মদ্যপ দম্পতি।
পুলিস সূত্রে খবর, এই সমস্যা শুধু এই রাজ্যের নয়। গোটা দেশের। আর বাবুয়ানার বেয়াদপি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সড়কেই। বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোরতর আইনও আনতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে সেই বিলকে।
নতুন বিলে বিপজ্জনক ড্রাইভিংয়ের জরিমানা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
মদ খেয়ে গাড়ি চালাতে জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
গতির সীমা ছাড়ালে জরিমানার পরিমাণ ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
নাবালক চালক ট্রাফিক আইন ভাঙলে জেলে যেতে হবে অভিভাবককেও।
হিট অ্যান্ড রানের ঘটনায় বেড়েছে শাস্তির মাত্রা, জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের পরিমাণ।
নতুন আইন এখনও কার্যকর হয়নি। কিন্তু, আইন কঠোর করেই লাগাম পড়ানো যাবে আলালের ঘরের দুলালদের গলায়? ধনী অপরাধীদের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের স্বাধীনতা পাবে তো পুলিস?