জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা(Jyoti Malhotra)। পকিস্তানে তার যাতায়াত ছিল। দিল্লিতে পাক হাইকমিনের অফিসারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। এরকম পাক যোগাযোগের অভিযোগ প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউ পাকিস্তানে বিয়ে করেছিল, কেউ পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা করত। এবার আরও চমকে যাওয়ার মতো খবর। ভারতের সংবেদশীল খবর পাকিস্তানে পাঠানোর অভিযোগ এবার গ্রেফতার এক সিআরপিএফ(CRPF) জওয়ান।
পাকিস্তানের চরবৃত্তির(Pak Spy) অভিযোগে এনআইএ-র(NIA জালে সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাট। অভিযোগ, মোতিরাম পাক ইন্টেলিজেন্স অফিসারের কাছে ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছে। তাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তাকে ইতিমধ্যেই পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তুলে ৬ জুন পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
একজন ইউটিউবার বা ব্যবসায়ীর পাকিস্তানের চরবৃত্তির সঙ্গে একজন সিআরপিএফ জওয়ানের চরবৃত্তির মধ্যে তফাত রয়েছে। কারণ একজন সিআরপিএফ জওয়ান দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং থাকেন। দেশের নিরাপত্তার বহু বিষয় তিনি জানেন। বাহিনীর মুভমেন্টে থেকে সিআরপিএফের অবস্থান সম্পর্কে অনেককিছুই জানেন মোতিরাম।
সিআরপিএফ সূত্রে সংবাদমাধ্যমের খবর সাব ইন্সপেক্টর পদে থাকা মোতিরামের পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অবাধ বিচরণ দেখে সন্দেহ হয় তার সিনিয়রদের। তার পরেই তাকে জিজ্ঞাসবাদ করেন সিআরপিএফের কর্তারা। তার পরেও তারে এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয় ইউএপিএ আইনে।
পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত লঞ্চ করে অপারেশন সিঁদুর। তার পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক গ্রেফতার করা হয় পাক চরদের। গ্রেফতার করা হয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে। পাশাপাশি একের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় পাক চরবৃত্তির অভিযোগে।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার নুহ জেলার তাওয়াদু ব্লকের কাংগারকা গ্রামের মহম্মদ তারিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে সামনে 'ডাক্তার', কিন্তু আসলে পাকিস্তানি গুপ্তচর! এমনটাই মনে করছে পুলিস।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার রাজাকা গ্রাম থেকে আরমানকে গ্রেফতারের ২ দিন পরই মহম্মদ তারিফকে গ্রেফতার করা হয়। তারিফের বিরুদ্ধে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে নিযুক্ত দুই কর্মচারী পাকিস্তানি নাগরিক আসিফ বালুচ এবং জাফরকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কিত গোপন তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন-ভয়ংকর! জরায়ু 'গড়াগড়ি' খাচ্ছে রাস্তায়! নির্মমতার চূড়ান্ত...হাড়হিম 'গণধর্ষণ'...
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের স্পাই জ্যোতি, সঙ্গী আরও ১০! ভারতে গুপ্তচর ধরা পড়লে শাস্তিটা কী? জানুন...
পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশেও একাধিক চর নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এরা ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে সরবারহ করেছে বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের রামপুরের ব্যবসায়ী শাহজাদ। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। সে একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছে।
গাজালা নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় সে পাকিস্তানে হাতে তুলে দিয়েছে। দিল্লিতে পাক দূতাবাসের কর্মী দানিশের কাছ থেকে সে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। ফালাকশের মাসি ও সুরজ মাসি নামে পঞ্জাব থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের য়োগাযোগ ছিল।
সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিংকে গ্রেফতার করা হয় গুরুদাসপুর থেকে। হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয় নোমান ইলাহি নামে একজনকে। হরিয়ানার কৈথল থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবন্দর সিংকে। ইয়ামিন মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয় পঞ্জাব থেকে। হরিয়ানার নুহ থেকে গ্রেফতার করা হয় আরমানকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)