নিজস্ব প্রতিবেদন : চাল, ডাল, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি এবার রেশন দোকানেই পাওয়া যেতে পারে মাছ, মাংস, ডিম। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগ এমনই একটি প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। দুঃস্থ মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতেই এমন সিদ্ধান্তের কথা ভাবছে নীতি আয়োগ। সরকারের সমীক্ষা বলছে, প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে চারজনের শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব রয়েছে। বেশিরভাগ বাচ্চারই জাঙ্ক ফুড-এর দিকে ঝোঁক বাড়ছে। ফলে বাড়ছে অসুখের প্রবণতা।
রেশন দোকানে মাছ, মাংস, ডিম সস্তায় পাওয়া গেলে দুঃস্থ মানুষদের প্রোটিনের চাহিদা মিটতে পারে বলে মনে করছে সরকার। তবে এক্ষেত্রে ভর্তুকির জেরে সরকারের উপর আর্থিক চাপ বাড়তে পারে। রেশন দোকানে চাল, ডাল, নুন, তেলসহ একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ভর্তুকিসমেত বিক্রি করার জন্য সরকারের অতিরিক্ত ১.৮৪ লাখ কোটি টাকা খরচ হয়। এবার রেশন দোকানে ভর্তুকিসমেত মাছ, মাংস, ডিম বিক্রি শুরু করলে সরকারের উপর আর্থিক চাপ আরও বাড়বে। সেই কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করতে শুরু করেচে নীতি আয়োগ। সারা দেশের সমস্য রাজ্যের রেশন দোকানেই মাছ, মাংস পাওয়া যেতে পারে সামনের বছর থেকে।
আরও পড়ুন- ১১ বছর পর রায়, জয়পুর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ৪
২০২০-তে এই প্রস্তাব পাস হয়ে গেলে এপ্রিল থেকেই সমস্ত রেশন দোকানে মাছ, মাংস, ডিম পাওয়া যেতে পারে বলে খবর। নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চন্দ্র বলেছেন, ''জাঙ্ক ফুড খাওয়ার জেরে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তবে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। তেল, চিনি ও মশলায় ভরপুর খাবার খেয়ে সারা দেশে অসংখ্য শিশু রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এই প্রবণতা দূর করতে আমরা উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করছি।''