জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড় সাংগঠনিক পরিবর্তন বিজেপিতে। আর সেই পরিবর্তনেই খারাপ খবর পেলেন নীতিন গড়করি এবং শিবরাজ সিং চৌহান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে একটি বড় সাংগঠনিক পুনর্গঠনেএ পরে বিজেপির শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিউরপ্পাকে দলের পুনর্গঠিত সংসদীয় বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুনর্গঠনের পরে এই কমিটিতে এখন অনেক নতুন মুখকে অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। সংসদীয় বোর্ড হল বিজেপির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি শাসিত রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির প্রধান কে হবেন। এছাড়াও অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দলের সিদ্ধান্ত নেয় এই কমিটি।
গুরুত্বপূর্ণ কমিটি থেকে নীতিন গড়করিকে বাদ দেওয়া এই পুনর্গঠনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অন্যতম সিনিয়র মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তিনি দলের প্রাক্তন প্রধান। ঐতিহাসিকভাবে দেখা গিয়েছে যে বিজেপি সাধারণত তার প্রাক্তন সভাপতিদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত রাখে।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং প্রাক্তন বিজেপি প্রধান রাজনাথ সিং-কে ফের সংসদীয় বোর্ডে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এই কমিটিতে আরও একটি বিস্ময়কর সংযোজন হল কর্ণাটকের বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদিউরপ্পা। তিনি গত বছর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: Cadbury godown: ১৭ লক্ষর চকলেট! ঘর থেকে নিয়ে গেল চোর
বিএস ইয়েদিউরপ্পার বয়স ৭৭ বছর। দলের অলিখিত ৭৫ বছরের বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে প্রভাবশালী এই রাজনীতিবিদ দলের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। ফলত তাঁকে শান্ত করার প্রক্রিয়ায় এই অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে বলেও মনে করছে বিভিন্ন মহল।
অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে সংসদীয় বোর্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিতেও যুক্ত করা হয়েছে। অসমে বিজেপি পুনরায় নিরবাচিত হওয়ার পরে সর্বানন্দ সোনোয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার জন্য।
দেবেন্দ্র ফড়নবীশকেও নির্বাচন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে জোট করে মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার পরে তাকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনার পরেই তাঁকে এই কমিটিতে নিয়ে আসার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।