Home> দেশ
Advertisement

SIR: SIR নিয়ে বড় আপডেট! নোটিস ছাড়া একটি ভোটারের নামও বাদ নয়! সুপ্রিমে হলফনামা জমা দিল নির্বাচন কমিশন...

Bihar SIR: কমিশন জানিয়েছে, যাতে কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তার জন্য নথিপত্রবিহীন ভোটারদের নথি সংগ্রহে সহায়তা করা হচ্ছে। বিহারের মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটির ফর্ম জমা পড়েছে।

SIR: SIR নিয়ে বড় আপডেট! নোটিস ছাড়া একটি ভোটারের নামও বাদ নয়! সুপ্রিমে হলফনামা জমা দিল নির্বাচন কমিশন...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহারের ভোটার তালিকা থেকে কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বিনা নোটিসে কেটে দেওয়া যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিস দিয়ে কারণ জানানো, শুনানির সুযোগ দেওয়া এবং যুক্তিসঙ্গত লিখিত নির্দেশ জারি করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (EC) সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন হলফনামা জমা দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে যে, কোনো ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আগে তাকে অবশ্যই নোটিশ দেওয়া হবে এবং তার বক্তব্য শোনার সুযোগ দেওয়া হবে।

শনিবার শীর্ষ আদালতে দাখিল করা একটি নতুন হলফনামায় কমিশন জানায়, নির্বাচনী তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) বা SIR চলাকালীন ভুলবশত যাতে কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ না পড়ে, তার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস’ (ADR) অভিযোগ করেছে, অন্তত ৬৫ জন যোগ্য ভোটারের নাম বেআইনিভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত ৬ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জবাব চেয়ে ১৩ অগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছিল।

প্রধান বিষয়বস্তু:

  • স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের নীতি: নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা 'স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের নীতি' কঠোরভাবে মেনে চলবে। এর অর্থ হলো, ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে একটি লিখিত নোটিশ দেওয়া হবে, যেখানে বাদ দেওয়ার কারণ উল্লেখ থাকবে। তাকে তার বক্তব্য পেশ করার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত সুযোগও দেওয়া হবে।

  • বিরোধীদের অভিযোগ: বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে এই সংশোধন প্রক্রিয়াটি 'ভোট চুরি'-এর একটি চেষ্টা, যা বিশেষ করে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের লক্ষ লক্ষ প্রকৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিতে পারে। তারা বলছে, কঠোর এবং মনগড়া নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা চাপানো হচ্ছে।

  • নির্বাচন কমিশনের যুক্তি: কমিশন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, আবেদনকারীরা আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা আদালতকে আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে 'বড় অঙ্কের জরিমানা' করারও অনুরোধ করেছে। কমিশন জানিয়েছে যে, কোনো যোগ্য ভোটার যাতে বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করার জন্য তারা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।

  • আপিলের ব্যবস্থা: নির্বাচন কমিশন আরও বলেছে যে, কোনো প্রতিকূল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য একটি দ্বি-স্তরীয় আপিল ব্যবস্থা রয়েছে। যদি কোনো দুর্বল ভোটারের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকে, তবে সেই কাগজপত্র পেতে তাদের সাহায্য করা হবে।

  • সচেতনতা এবং প্রচার: ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন: এসএমএস-এর মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি, বুথ লেভেল অফিসারদের (BLOs) মাধ্যমে বারবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ, এবং শহুরে ও অস্থায়ী অভিবাসী ভোটারদের জন্য বিশেষ প্রচার চালানো।

কমিশনের বক্তব্য-

১ অগস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ বাধ্যতামূলক—

১) প্রস্তাবিত বাদ দেওয়ার কারণ-সহ আগাম নোটিস পাঠানো

২) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বক্তব্য রাখার ও নথি পেশের সুযোগ দেওয়া

৩) যথাযথ যুক্তি-সহ লিখিত নির্দেশ জারি

সঙ্গে রয়েছে দু-স্তরের আপিলের সুযোগ, যাতে কোনও ভোটারের নাম ভুলভাবে বাদ পড়লে তা সংশোধন করা যায়।

কমিশন জানিয়েছে, যাতে কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়েন, তার জন্য নথিপত্রবিহীন ভোটারদের নথি সংগ্রহে সহায়তা করা হচ্ছে। বিহারের মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটির ফর্ম জমা পড়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলির বুথ লেভেল এজেন্টদের (BLA) সঙ্গে তালিকা ভাগ করে নেওয়া হয়েছে, যাতে বাদ যাওয়া নাম ফের খসড়ায় যুক্ত করা যায়। ২০ জুলাইয়ের মধ্যেই এই তালিকা দলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে আপডেট তালিকাও দেওয়া হয়।

সচেতনতা অভিযান ও বিশেষ শিবির

১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খসড়া তালিকা খতিয়ে দেখার জন্য প্রিন্টেড ও ডিজিটাল কপি দলগুলিকে দেওয়া হয়েছে, জনসাধারণের জন্যও অনলাইন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ভোটার তালিকা থেকে যাতে অস্থায়ী অভিবাসীরাও বাদ না পড়েন, সেই জন্য দেশের ২৪৬টি সংবাদপত্রে হিন্দি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। রাজ্যের বাইরে থেকেও ফর্ম জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

শহর ও শহরতলিতে ২৬১টি পুরসভায় বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে ১ অক্টোবর বা তার আগে বয়সসীমা পূর্ণ করা তরুণ ভোটাররাও নাম তুলতে পারেন। আগাম আবেদন গ্রহণ এবং বিশেষ প্রচারের পরিকল্পনাও রয়েছে।

কমিশনের দাবি, মৃত, নকল বা স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারদের নাম বাদ দিয়ে নির্বাচনী তালিকার নির্ভুলতা বজায় রাখতে SIR একটি নিয়মিত এবং অপরিহার্য প্রক্রিয়া। এই সংশোধন অভিযান চলবে বিহারের সব ক’টি ২৪৩ আসনের বিধানসভা ভোটের আগে।

আরও পড়ুন: Double Transport Allowance for Central Govt employee: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের যাতায়াত ভাতা বাড়ল দ্বিগুণ! কারা পাচ্ছেন এই সুবিধা? কবে পাবেন? জেনে নিন সব...

আরও পড়ুন: Operation Sindoor Narratives: 'অপারেশন সিঁদুর' ছিল আসলে পাকিস্তানের সঙ্গে ঝোরো দাবা খেলা! প্রতিটা চালে ভারত ওদের কিস্তিমাত করেছে...'

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল

 

 

Read More