জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিনের পর দিন কলেজ অধ্যাপকের যৌন নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার। আর সেই নির্যাতনের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী ২০ বছরের ছাত্রী (Odisha self-immolation)। ওড়িশার বালাসোর কলেজের ঘটনায় এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের অবিলম্বে বদলির সুপারিশ করেছিল ইন্টারনাল কমপ্লেইন্টস কমিটি। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ তা উপেক্ষা করেন।
সোমবার রাতে ভুবনেশ্বর এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বালাসোরের ফকির মোহন অটোনমাস কলেজের (Balasore Fakir Mohan Autonomous College) বি.এড পড়ুয়া ওই নির্যাতিতা। ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরই হইচই শুরু হয় বিভাগীয় প্রধান সমীর রঞ্জন সাহুর (Sameer Ranjan Sahoo) বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ নিয়ে। এরমধ্যে অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষকে (Dillip Ghose) নিয়েই অভিযোগ সবচেয়ে গুরুতর।
অভিযোগ, নির্যাতিতা কলেজের অভ্যন্তরীণ কমিটির কাছে প্রথম অভিযোগ করেন অধ্যাপক সাহুর যৌন হেনস্থা নিয়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিভাগের কমপক্ষে ৬০ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমিটি। যদিও সেই জিজ্ঞাসাবাদে সাহুর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ কমিটির হাতে আসেনি। কিন্তু তারপরেও আইসিসি অভিযুক্ত অধ্যাপক সমীর রঞ্জন সাহুর বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে অপসারণ ও অবিলম্বে বদলির সুপারিশ করে।
৯ জুলাই অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষের কাছে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করে। সেইসঙ্গে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত যত দ্রুত সম্ভব অ্যাকশন নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ সেই রিপোর্টকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে অভিযুক্ত সাহুকে বিভাগীয় প্রধান পদেই পুনর্বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন, Mobile recharge: বড় দুঃসংবাদ! 'সস্তায়' নেটে মোবাইলে সুখ-ভোগের দিন শেষ... একলাফে দাম বাড়ছে...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)