Home> দেশ
Advertisement

Vote Chori Protest in Delhi: 'ভোট চুরি' রুখতে একজোট বিরোধীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার! জ্ঞান হারালেন মহুয়া, আটক রাহুল...

Mohua Moitra fainted in agitation: বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দলগুলির মধ্যে ছিল দেশের নানা প্রান্তের আঞ্চলিক ও জাতীয় দল। যদিও বর্তমানে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বাইরে থাকলেও সোমবারের কর্মসূচিতে শামিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও (আপ)।  

Vote Chori Protest in Delhi: 'ভোট চুরি' রুখতে একজোট বিরোধীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার! জ্ঞান হারালেন মহুয়া, আটক রাহুল...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধে পুলিসি অতি-সক্রিয়তা। এটাই বিজেপির দমননীতির প্রধান অস্ত্র। সাধারণ মানুষ থেকে সাংসদ, কেউ বাদ পড়লেন না দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) অত্যাচারের হাত থেকে। সোমবার নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানে নামতেই বিরোধী সাংসদদের সংসদ ভবন চত্বরের বাইরে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সাংসদদের গণতন্ত্র রক্ষার শপথকে আটকাতে না পেরে শেষে মহিলা সাংসদদের শাড়ি, চুলের মুঠি ধরে মার দিল্লি পুলিশের। নক্কারজনক ভূমিকা নিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ।

সোমবার দিল্লির রাজপথ সরগরম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র (INDIA Bloc) বিক্ষোভে। সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের দফতর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হলেও তাঁর অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিস।

আরও পড়ুন: CBSE open-book assessments: বড় আপডেট! ২০২৬ থেকেই ক্লাস নাইনের পড়ুয়ারা বই দেখে দেখে পরীক্ষা দেবে পড়ুয়ারা, চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম...

আরও পড়ুন: Supreme Court on Fatherhood: আপনার স্ত্রী কার ঔরসে গর্ভবতী, সেটা বিষয় নয়! আইনি মতে, আপনিই বাবা: সুপ্রিম কোর্ট

এদিন সকালে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই এসআইআর ইস্যুতে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল হইচইয়ে দুপুর ২টো পর্যন্ত দুই কক্ষের কার্যসূচি মুলতুবি হয়ে যায়। এর পরেই রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi), ডেরেক ও ব্রায়েন,(Derek O'Brien) অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)-সহ প্রায় ৩০০ জন সাংসদের মিছিল সংসদ ভবন থেকে রওনা হয়। কিন্তু কিছু দূর যেতেই ব্যারিকেড তুলে পথ আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। যদিও বিরোধীদের এই মিছিলে নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার কারণ এদিন মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করতে চলেছেন তিনি।

দিল্লিতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র বিক্ষোভ: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, মহিলা সাংসদেরা আহত

সোমবার দিল্লির রাজপথে উত্তাল ছিল বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র বিক্ষোভ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের দফতর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় বিরোধীরা।

এসআইআর (SIR) ইস্যু: 

সকালে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই এসআইআর (SIR) ইস্যুতে তুমুল হইচই শুরু হয়, যার ফলে দুপুর ২টো পর্যন্ত দুই কক্ষের কার্যক্রম মুলতুবি রাখা হয়। এরপরই রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, ডেরেক ও’ব্রায়েন, অখিলেশ যাদব-সহ প্রায় ৩০০ জন সাংসদ সংসদ ভবন থেকে মিছিল শুরু করেন। কিন্তু কিছুদূর এগোনোর পরই দিল্লি পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের পথ আটকে দেয়। এই মিছিলে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না, কারণ তিনি সেদিন মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের দলীয় কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।

ভোট চুরি ইস্যু: 

মিছিল আটকে যাওয়ার পর সাংসদেরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা 'ভোট চুরি' বন্ধের দাবিতে স্লোগান দেন। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সাগরিকা ঘোষ এবং আরও কয়েকজন মহিলা সাংসদ ব্যারিকেডের ওপর উঠে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল— ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দলগুলির মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আঞ্চলিক ও জাতীয় দল ছিল। উল্লেখ্য, বর্তমানে 'ইন্ডিয়া' জোটের বাইরে থাকা সত্ত্বেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও (আপ) এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়।

পুলিসি দমননীতি এবং সাংসদদের উপর হামলা: 

বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিসি অতি-সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যখন বিরোধী সাংসদেরা ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তখন দিল্লি পুলিস তাঁদের উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং মিতালি বাগ ধস্তাধস্তির সময় সংজ্ঞা হারান। মহুয়া মৈত্রকে সংজ্ঞা হারানোর অবস্থাতেই পুলিশ বাসে তুলে দেয়। অন্যদিকে, মিতালি বাগকে রাহুল গান্ধী এবং জন ব্রিট্টাস গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে যান।

সংসদ চত্বরের বাইরে কয়েকশো বিরোধী সাংসদ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে দিল্লি পুলিস ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকায়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ, মিতালি বাগরা সেই ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যেতে থাকেন। তাঁদের দেখেই বিরোধী দলের সাংসদ অখিলেশ যাদব থেকে অন্যান্য নেতারাও ব্যারিকেড টপকান।

এরপরই সাংসদদের উপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে দিল্লি পুলিস। ধস্তাধস্তিতে সংজ্ঞা হারান সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সেই অবস্থাতেই তাঁকে পুলিস বাসে তুলে দেয় অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে। সংজ্ঞা হারান আরেক তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগও (Mitali Bag)। এগিয়ে আসেন বিরোধী দলের সাংসদরা। রাহুল গান্ধী ও জন ব্রিট্টাস তাঁকে গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করেন।

আর দিল্লি পুলিসের এই দমননীতিতে সরব সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, মহিলা সাংসদদের ধাক্কা মেরে, ঠেলে, চুলের মুঠি ধরে টেনেছে দিল্লি পুলিস। সাংসদ মহুয়া মৈত্র সংজ্ঞা হারান। এই আচরণ জঘন্য। এটা মোদি সরকার ও মোদির পুলিশের গণতন্ত্রকে পিষে দেওয়ার একটা উদাহরণ। মহিলা সাংসদদেরও ধাক্কা মেরে বাসে তোলা হয়েছে।

 

Read More