জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুতে ১৩ বছরের ছেলেকে অপহরণ। তারপর তাকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতোমধ্যেই জানা গিয়েছে, পুলিস দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিসি এনকাউন্টারের সময় তাদের দুজনের পায়ে গুলি লাগে।
পুলিসি এনকাউন্টার:
অভিযুক্ত দুইজন- গুরুমূর্তি ও গোপালকৃষ্ণ। তাদেরকে বৃহস্পতিবার রাতে কাগ্গলিপুরা রোডের কাছে, বান্নারঘাটা থানার অন্তর্গত এলাকায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার সময় অভিযুক্তরা পুলিসের উপর হামলা করে। পুলিস প্রথমে সতর্কতামূলকভাবে আকাশে গুলি ছোড়ে, কিন্তু অভিযুক্তরা আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। এরপর আত্মরক্ষায় পুলিস মোট ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনার পর, দুই অভিযুক্তকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জয়নগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে বলে মনে করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত:
বেঙ্গালুরুর ক্রাইস্ট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিশ্চিথ। ৩০ জুলাই, বুধবার সন্ধেবেলা আরাকেরে-তে টিউশন সেরে বাড়ি ফেরার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। নিশ্চিথের বাবা একজন কলেজের অধ্যাপক। সময় পেরিয়ে গেলে ছেলে ঘরে না ফেরায় বাবা হুলিমাভু থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
নিশ্চিথের পোড়া দেহ উদ্ধার:
মামলা দায়েরের কিছুক্ষণ পরই পরিবার ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের একটি ফোনকল পায়। যদিও পরিবার টাকা দিতে প্রস্তুত ছিল এবং পুলিসও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তারপরেই আচমকা ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা বান্নারঘাটা জঙ্গলের কাছে একটি নির্জন এলাকায় নিশ্চিথের দেহ ভয়াবহ পোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয়। তার জুতো ও জামাকাপড়ও বেশিরভাগটাই আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:Solanki Roy on Casting Couch: 'ক্লিভেজ নেই, ব্রেস্ট সার্জারি করাও', পরিচালককে কড়া জবাব শোলাঙ্কির...
এফআইআর অনুযায়ী, নিশ্চিথ ওইদিন বিকেল ৫টায় টিউশনে যায়, ৭.৩০টায় ক্লাস থেকে বের হয়। কিন্তু ৮টার মধ্যে সে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার টিউশন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শিক্ষক জানান, নিশ্চিথ আগেই ক্লাস শেষ করে চলে গেছে। পরে তার সাইকেলটি আরেকেরে এলাকার প্রমিলি পার্কের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
কে এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড?
ঘটনার মাস্টারমাইন্ড গুরুমূর্তি নিশ্চিথের বাড়িতে অতিরিক্ত ড্রাইভার হিসাবে কাজ করত। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, সে ওই রাতে নিশ্চিথকে অপহরণ করে খুন করে। তারপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে।
পুলিস জানিয়েছে, এই খুনের পিছনে আসল মোটিভ কী, তা পরবর্তী তদন্তে জানা যাবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)