Home> দেশ
Advertisement

আন্দামান ও নিকোবারের নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি নেতাজি পরিবারের

চলতি বছরের শেষে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। সব ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ নেতাজি কর্তৃক গঠিত ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সরকারের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদযাপনেই সেখানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। 

আন্দামান ও নিকোবারের নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি নেতাজি পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাম পরিবর্তন করা হোক আন্দামান ও নিকোবার দীপের, এই আর্জি জানিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বসু। ঘটনাচক্রে তিনি আবার রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতিও।

আরও পড়ুন- এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে রামায়ণ দর্শন, রামের জীবন দেখাবে ভারতীয় রেল

চন্দ্র কুমার বসু চিঠিতে লিখেছেন, “ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে  ৩০ ডিসেম্বর পতাকা উত্তোলন করবেন আপনি (নরেন্দ্র মোদী)। ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী  সুভাষ চন্দ্র বসু যেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, ঠিক সেখানেই তেরঙ্গা তুলবেন আপনিও। সেখানকার মানুষের দীর্ঘ দিনের আর্জি, আন্দমান ও নিকোবার দীপের নামকরণ করা হোক নেতাজির দেওয়া নামেই। ভারত সরকার ওই দুই দীপের নাম পরিবর্তন করে শহিদ ও স্বরাজ করুক, তাঁরা এটাই চায়”। চন্দ্র কুমার বসুর মতে প্রধানমন্ত্রী আন্দামান ও নিকোবার দীপের নাম পরিবর্তন করার  কথা ঘোষণা করলে তাতে নেতাজিকেই সম্মানিত করা হবে।

আরও পড়ুন- ভোটের মুখে গুজরাট দাঙ্গার বিতর্ক, মোদীর ‘ক্লিনচিটে’র মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে

fallbacks

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। সব ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ নেতাজি কর্তৃক গঠিত ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সরকারের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদযাপনেই সেখানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পোর্ট ব্লেয়ারের জিমখানা মাঠে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার কেতন উড়িয়েছিলেন নেতাজি, এবছর সেখান থেকেই  পতাকা উত্তোলন করার কথা তাঁরও। ওয়াকিফহাল মহলের একাংশ মনে করছে, আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে নেতাজি আবেগকে আরও একবার খুঁচিয়ে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এমন মওকাতে ভাগীধার হতে তত্পর রাজ্য বিজেপিও। সেই কারণেই, সুযোগ বুঝে যোগী রাজ্যের নাম বদলের ট্রেন্ডকে অনুসরণ করে আন্দামান ও নিকোবারের নাম বদলের আর্জি জানিয়ে রাখল রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি।

Read More