অয়ন ঘোষাল: ম্যাট্রিমোনিয়াল অ্যাপে সোনমের জন্য পাত্র খুঁজছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সেখানে রাজাকে দেখে পছন্দ হয় তাঁর মা বাবার। রাজার তুতো ভাই অর্পিত সেকথা প্রকাশ করেছেন। আগে থেকে দুই পরিবারের মধ্যে কোনও চেনাশোনা ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।
অর্পিত জানিয়েছেন, সোনম এবং রাজার পরিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরেরই বাসিন্দা। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বেশ কয়েক বার দেখাও করেন পরিবারের সদস্যরা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোনমের বাড়িতেই হয় বিয়ের পাকা কথা।
বিয়ের পর ইন্দোর থেকে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় যান সোনম এবং রাজা। সেখানেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে রাজাকে খুন করান সোনম। জানা যাচ্ছে, নিজেদের কারখানার কর্মী রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু সোনমের পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরিবারের চাপে রাজাকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেও, বিয়ের পর থেকেই রাজাকে সরানোর ছক কষতে শুরু করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিয়ে হলেও, রাজার ঘনিষ্ঠ হননি সোনম। মাঙ্গলিক দোষের দোহাই দিয়েছিলেন। কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে তবেই শারীরিক মিলনে লিপ্ত হবেন বলে জানান। পাশাপাশি সদ্য বিবাহিত স্বামীকে সোনম জানান, যতদিন পর্যন্ত মাঙ্গলিক দোষ না কাটছে ততদিন পর্যন্ত দুজনের একসঙ্গে কোনও ছবিও তোলা যাবে না।
প্রেমিককে সোনম জানান, রাজা প্রতিদিন ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে, যা তাঁর ভাল লাগছে না। এর পরই রাজাকে মেঘালয়ে নিয়ে নিয়ে খুনের পরিকল্পনা বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
গোটা ঘটনায় প্রথমে সোনমের পক্ষ নিচ্ছিলেন তাঁর পরিবার। তাঁদের মেয়ে এমন কাজ করতে পারেন না বলেই দাবি করছিলেন। কিন্তু পর পর যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে সোনমের দাদা জানিয়েছেন, সোনমই খুন করেছেন বলে নিশ্চিত তাঁরা। আইনি লড়াইয়ে রাজার পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)