রাজীব চক্রবর্তী: 'আমার জেলা বাঁকুড়ায় দিলীপ ঘোষকে ঢুকতে দেব না'। ফের বিস্ফোরক বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বললেন, 'অন্য দল থেকে এসেছি বেশ করেছি, তুমি নিজের চরকায় তেল দাও। কুনাল ঘোষ এখন দিলীপ ঘোষের পিএ হয়েছেন। কিন্তু, কুনাল ঘোষ দিলীপদাকে পেমেন্ট দিচ্ছেন, নাকি দিলীপ ঘোষ কুণাল ঘোষকে পেমেন্ট দিচ্ছেন সেটা জানি না'।
ঘটনাটি ঠিক কী? উদ্বোধনের দিনেই সস্ত্রীক দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এমনকী, মমতার প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে। ক্ষোভে ফুঁসছে গেরুয়াশিবির। দিলীপকে লাগাতার আক্রমণ করছেন দলের নেতারা।
চুপ করে থাকেননি দিলীপও। বিরোধী শিবিরকে তাঁর পাল্টা তোপ, 'যারা মমতার আঁচলের তলায় থেকে নেতা হয়েছে তারা বড় কথা বলছে, চরিত্র নিয়ে কথা বলছে। যারা কালীঘাটের উচ্ছিষ্ঠ খেয়ে জীবন কাটিয়েছে, তারা দিলীপ ঘোষকে ক্যারেকটার সার্টিফিকেট দিচ্ছে'। সৌমিত্র বলেন, 'আমাদের বারবার বহিরাগত বলে আক্রমণ করা হচ্ছে, সারাদেশে বিজেপির ছয়/আট জন মুখ্যমন্ত্রী অন্য দল থেকে এসেছেন। বহিরাগত বলে আমাদের কি বোঝাতে চাইছেন আমাদের রাজনৈতিক মেরুদন্ড নেই'?
সৌমিত্রের আরও বক্তব্য, 'আপনি বলছেন আমার চারটে বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি। সৌমিত্র খাঁ কলার উঁচু করে বলে। তুমি ভারতীয় জনতা পার্টিতে থাক, অন্য দলে গেলে আমি তোমায় পরিত্যাগ করছি। যাকে বিয়ে করেছি পারমিতা তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির এক কর্মীর স্ত্রী ছিলেন। সেই কর্মীর মৃত্যুর পর আমি তাকে বিয়ে করেছি আমি। ভালো কাজ করেছি। আমি খুব ভালো কাজ করেছি'।
সম্প্রতি বিয়ে করেছেন দিলীপ। সেই বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। সৌমিত্র বলেন, 'বহিরাগত,মদ্যপান, বিছানা-এসব আপনারই অভ্যাস আছে। আপনারা প্রকাশ করেন না। কোথাও ফেঁসে গিয়েছেন তাই বিয়ে করেছেন। আপনি আরও দু তিনজনের সঙ্গে ফেঁসে গিয়েছেন তাই এখানে বিয়ে করেছেন। অনেক কিছু আছে আপনার দিল্লিতে কোথায় অ্যাসেট আছে আমরা জানিনা' !
এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, আমার বাবার ব্যবসা আছে, আমি ব্যবসা করি। আমরা কেউ উচ্ছিষ্ট ভোগী নয়। আমরা থাকলে পার্টিটা চলে। অধিকারী পরিবার নিয়ে আপনি বড় বড় কথা বলছেন আমরা এসব মেনে নেব নাকি ! আঙুল তোলার আগে নিজের দিকে চারটে আঙুল তুলবেন। চাকরি দুর্নীতি মামলায় যে প্রসন্ন ধরা পড়েছিলেন তার বাড়িতে আপনার কাগজ কি করে গেল'?
এখন সময়ে খড়গপুরের বিধায়ক ছিলেন দিলীপ। এরপর ২০১৯ মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন তিনি। চব্বিশে লোকসভা ভোটে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ, কিন্তু জিততে পারেননি। সৌমিত্র বলেন, 'বিষ্ণুপুরে এবং সমগ্র রারবাংলায় আমার পায়ের নিচে জমি আছে। দিলীপবাবু বিধায়ক পদে জিততে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। আমি তো দল চেঞ্জ করা লোক। আমি তিনটে দল চেঞ্জ করেছি আমি জানি দল বদল করতে গেলে কি কি করতে হয়। কেস চালাতে গিয়ে আমাকে যদি কেউ টাকা দেন, আমি সাদরে গ্রহণ করব। আমার একটা মদের দোকান আছে পেট্রোল পাম্প আছে, কনস্ট্রাকশন এর বিজনেস আছে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)