রাজীব চক্রবর্তী: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল গত ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাওনা ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই ডিএ পাননি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এনিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য়, হিসেব করে কিছু অন্তত মিটিয়ে দিক রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার ছিল ডিএ মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল ও আইনজীবী শ্য়াম দিওয়ান। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়,
রাজ্য সরকারের টাকার অভাব। ওই বিপুল ডিএ দিতে গেলে রাজ্যকে ঋণ করতে হবে। তার জন্য আবার বিধানসভায় তা পাস করাতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের পাওনা একশো দিনের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। বিপুল টাকা পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের ঘরে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ পাওয়ার ক্ষমতা দেখে ঋণ দেবে। কোনও আদালত বলতে পারে না যে উপভোক্তা মূল্যসূচক অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। এটা চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
রাজ্যের সওয়াল শুনে বিচাপপতিরা বলেন, কিছু একটা অঙ্ক ঠিক করে ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে বলুন রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তো আপনাদেরই লোক, আপনাদের হয়েই কাজ করেন। বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, আপনারা যে কোনও পরিমাণ ডিএ দিতে পারেন। কিন্তু প্লিজ দিন। আপনাদের ক্লায়েন্টকে বলুন।
আরও পড়ুন-আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, ভারতের নাগরিক হতে গেলে থাকতে হবে এই ৪ নথি
উল্লেখ, গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বলেছিল ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দিয়ে দিতে হবে। তখনই রাজ্য সরকার বলেছিল, কর্মচারীদের ওই বিপুল বকেয়া ডিএ দিতে গেলে রাজ্য সরকার বিপাকে পড়ে যাবে। এর জন্য ঋণ নিতে হবে। তার জন্য আবার কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। এটি সময় সাপেক্ষ বিষয়। পাশাপাশি এটি রাজ্য সরকারের বিষয়। এর জন্য কোনও রাজ্য সরকারকে বাধ্য করা যায় না। এটা কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। কর্মচারীদের কতটা ডিএ দেওয়া হবে তার রাজ্য সরকার ঠিক করবে। এনিয়ে আগামিকাল মামলাকারীদের বক্তব্য শুনবে সর্বোচ্চ আদালত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)