জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদে ৩৫৫ ধারা জারির আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গভোইয়ে পর্যবেক্ষণ, 'আপনারা কি চান যে এই আবেদন কার্যকর করার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতিকে লিখিত নির্দেশ দিই? এমনিতেই আমাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠছে। দয়া করুন'!
ঘটনাটি ঠিক কী? ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠেছিল মুর্শিদাবাদ। বিভিন্ন জায়গায় চলে বিক্ষোভ, অগ্নি সংযোগ! পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন সাড়়া দিয়ে মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এখন অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরছে জনজীবনে।
এদিকে মুর্শিবাদের অশান্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। মামলাটির শুনানি হয়নি এখনও। এরমধ্যেই আবার মুর্শিদাবাদকাণ্ডে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে চেয়ে ফের নতুন করে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই মামলাটিই এবার পত্রপাঠ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল মুখপাত্র মৃত্যু়ঞ্জয় পাল বলেন, 'এটা তো হওয়ারই ছিল। যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনা আমরা কেউ-ই চায়নি। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন কিন্তু সঙ্গে তার ভূমিকা পালন করেছে। দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন শান্তি বজায় আছে'। তাঁর দাবি, 'সেখানে দাঁড়িয়ে যাঁরা এই ধরনের কাজ করছে, তারা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। এবং সুপ্রিম কোর্ট বুঝতে পেরেছে। দু'বছর ধরে মণিপুর জ্বলেছে। ত্রিপুরাতে ওয়াকফ বিল নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। অসমে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামেনি! প্রত্যেকটা জায়গায় হচ্ছে। কারা ওয়াকফ বিল এনেছে, কারা অশান্তি বাতাবরণ তৈরি করছে, ভারতবর্ষের মানুষ বুঝতে পারছে। ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই ধরণের কাজ করছে। সুপ্রিম কোর্টে দুগালে ধাপ্পড় খেয়েছে'।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বিজেপি নীতিগতভাবে ৩৫৫ বা ৩৫৬ জারি করে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার বিপক্ষে। এগুলি তৃণমূল কংগ্রেসে ডিএনএ-তে আছে। ওরা কংগ্রেসের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে। যাঁরা সবচেয়ে বেশি ৩৫৬ ধারা অপপ্রয়োগ করেছে। আমরা রাজনৈতিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে দেব'।
এদিকে মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়েরা। বেদবোনা, জাফরাবাদ, দিঘরি একাধিক বাসিন্দার দাবি, 'সেদিন চার ঘণ্টাতে দেরিতে পৌঁছয় পুলিস'। নড়েচড়ে বসল নবান্ন। হামলা নিয়ে বারবার কল এলেও কেন গুরুত্ব দেওয়া হল না? কখন কখন থানায় এসেছিল? কার কাছে কল এসেছিল? তাঁরা কি কাউকে জানিয়েছিলেন? জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)