জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ষণ মামলায় অপরধী সাব্যস্ত করের করার জন্য নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে আঘাত বা ক্ষতের প্রমাণ মেলা জরুরি নয়। এমনকী এর কোনও মানেই নেই। ১৯৮৬ সালের এক মামলার রায় দিতে গিয়ে এমনই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। আর এই পুরো যুদ্ধের সময় প্রায় ৪০ বছর।
১৯৮৪ সালে এক ছাত্রীকে বাড়িতে পড়ানোর নাম করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাই অভিযোগ দায়ের করে। ১৯মার্চ টিউশনের জন্য অভিযুক্তের বাড়ি যায় মেয়েটি, তখন সেই শিক্ষক অন্য দুটি মেয়েকে কাজের জন্য বাইরে পাঠিয়ে নির্যাতিতাকে ভেতরের ঘরে লক করে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযেগ। পরে অন্য দুটি মেয়ে ফিরে এলেও দরজা খোলা হয়নি।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
অবশেষে, ওই মেয়েদের ঠাকুমা এসে নির্যাতিতাকে বাঁচায়। এরপরে এফআইআর করার চেষ্টা করলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও তা সত্ত্বেও, এফআইআর কিছুটা বিলম্বের পরে জমা দেওয়া হয়েছিল। পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩২৩ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। এমনকী পাঁচ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। এরপরই উচ্চ আদালতে আপিল করে অভিযুক্ত।
২০১০-এ প্রায় ২৫ বছর পর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ একই রায় বহাল রাখে। এরপর আরও ১৫ বছর অতিক্রান্ত। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেয়। শীর্ষ আদালতে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, ওই অভিযোগ ‘মিথ্যা’। কারণ মেডিকেল রেকর্ড অনুযায়ী, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি আরও যুক্তি দেন, নির্যাতিতার মায়ের চরিত্রও সন্দেহজনক। আরই বক্তব্যকেই নস্যাত্ করে শীর্ষ আদালত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)