জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুলিস বলছে, সন্দেহভাজন তিন কিশোর ওই কিশোরকে একটু নির্জনে ডেকে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাকে বলা হয়, তাকে ছোলাবাটুরে খাওয়ানো হবে। কিন্তু তাকে খুন (Teen Killed) করা হল। অপরাধ? ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদ (Ghaziabad)।
ইনস্টাগ্রাম থেকে ঝোপ
উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, এক সতেরো বছরের কিশোরকে খুন করেছে তারা। কেন? দাবি, খুন করা হয়েছে যে-ছেলেটিকে, সে নাকি ইনস্টাগ্রামে একটি মেয়েকে 'ফলো' করত!
চিহ্নিত অপরাধীরা হল যথাক্রমে ওয়াসিম খান, মহম্মদ সাহিল, মহম্মদ রেহান। এর মধ্যে ওয়াসিম খান ও মহম্মদ সাহিল-- দুজনেই পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। রেহান দশম শ্রেণির পড়ুয়া। মৃতের দেহ একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়। গাজিয়াবাদের লোনিজ ট্রোনিকা সিটির ইলাইচিপুরের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় ওই কিশোরের দেহ।
প্রেম থেকে?
কেন এতটা রোষ? মূল অভিযুক্ত ইলেকট্রিসিয়ান ওয়াসিম। খুন হওয়া কিশোরটি যখন কথাপ্রসঙ্গে ওয়াসিমকে জানায়, সে ইনস্টাগ্রামে একটি মেয়েকে ফলো করে এবং তার ছবিতে লাইক-ও করে, তখন কে সেই মেয়ে, জানতে গিয়ে ওয়াসিম নাকি আবিষ্কার করে, সে-ও ওই মেয়েটিকেই ইনস্টাগ্রামে ফলো করে। আর ওয়াসিম বিষয়টি মোটেই ভালো ভাবে নেয়নি। তখনই সে ওর সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেয়, এমনকি তাদের মধ্যে মারপিটও হয়।
ছোলে বাটুরে...
তখনকার মতো মনের রাগ মনেই পুষে চলে যায় ওয়াসিম। কিন্তু ভিতরে ভিতরে প্ল্যান করতে থাকে। তারপর সে খুন হওয়া কিশোরকে একটা আউটিংয়ের প্রস্তাব দেয়। ছেলেটি হয়তো ভেবেছিল, ওয়াসিম সব মিটমাট করে নিতে চাইছে। কিন্তু ঘটনা তা হয় না। 'চল, ছোলে বাটুরে খাব' বলে তিনটি ছেলে মিলে তাকে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে আক্রমণ করে। ১২ বার ধারল অস্ত্র নিয়ে তাকে কোপানো হয় এবং তার রক্তাক্ত শরীর একটি ঝোপে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়। অটোপ্সি হয়। তাতে জানা যায়, মোট ২৭টি আঘাতের চিহ্ন তার সারা শরীর জুড়ে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)