জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্তান অসুস্থ। রোগ সারাতে দিতে হবে নরবলি। তান্ত্রিকের পরামর্শে ঘরের লোককেই বলি দিয়ে দিল যুবক। ওই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচয়ে। ওই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন- ডাইনি অপবাদে মারধর, বীরভূমে মৃত দম্পতি
রাজ্যের পারসা গ্রামের বাসিন্দা বিবেক ভার্মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না বৃহস্পতিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বছর দশকের ওই বালকের গলাকাটা দেহ পাওয়া যায় মাঠের মধ্যে। দেখেই মনে হচ্ছে কেউ গলার নলি কেটে তাকে ফেলে দিয়েছে জমিতে।
ওই ঘটনায় তদন্তে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা যাচ্ছে ওই বালকের এক খুড়তুতো দাদা রয়েছে। নাম অনুপ ভার্মা। তার একটি আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে যে মানসিকভাবে অসুস্থ। অনেক চিকিত্সার পরেও সে ভালো হয়ে ওঠেনি। তার পরই তন্ত্রমন্ত্রের আশ্রয় নেন অনুপ ভার্মা। সেই তান্ত্রিকই নাকি অনুপকে বলেন, ছেলেকে বাঁচাতে গেলে কোনও নরবলি দিতে হবে।
পুলিসের কাছে অনুপ স্বীকার করেছে সে ও তার কাকা চিন্তারাম মিলে দশ বছরের ওই বালককে খুন করেছে। ওই ঘটনায় অনুপ, চিন্তারাম ও ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকালই বীরভূমের আমোদপুরে নপাড়া গ্রামে ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক মহিলা ও কার স্বামীকে পিটিয়ে মারা হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছেন গ্রামের এক মোড়লকে। মৃতদের নাম পান্ডু হেমব্রম ও পার্বতী হেমব্রম। এই দুই জন সম্পর্কে স্বামী এবং স্ত্রী। গ্রামবাসীদের ও মৃতদের পরিবারের অভিযোগ যে, এই দুই জনকে শনিবার সকালে ডাইনি অপবাদে গ্রামের মোড়ল ও তাদের লোকজনরা বেধরক মারধর করে। এরপর তাদের ভর্তি করা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। শনিবার রাত্রে তাঁদের দেহ গ্রামে আনা হলে গ্রামবাসী ও পরিবারের আত্মীয়রা মৃতদেহ সৎকার করতে বাধা দেয়। এরপরই অভিযুক্ত মোড়লকে গ্রেফতার করা হয়।