নিজস্ব প্রতিবেদন: সুতোর উপর ঝুলছে কর্নাটকের জোট সরকার। বিজেপি দেখছে আশার আলো। আর সংবাদমাধ্যমের কাছে কুমারস্বামীরা আশ্বাস দিচ্ছেন, চিন্তার কারণ নেই। সব সমাধান হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে উচাটন কোনও অংশেই কমছে না। বলা যায়, আজ এখনও পর্যন্ত ‘যদি’র উপর দাঁড়িয়ে সরকার ভাঙা-গড়া খেলার অঙ্ক।
রবিবার জোট সরকারের ১১ বিধায়ক ইস্তফা দিতে যান স্পিকারের সচিবালয়ে। সে সময় স্পিকার ছুটিতে ছিলেন। আজই ওই বিধায়কের ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখবেন স্পিকার। প্রত্যেককে ডেকে জানা হবে তাঁদের বলপূর্বক ইস্তফা দেওয়া হচ্ছে কিনা নাকি নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি সন্তোষজনক উত্তর বিধায়কের কাছ থেকে পান, তাহলে তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন স্পিকার। তাহলে, কংগ্রেস-জেডিস জোট সরকারের আসন সংখ্যা বিজেপির থেকেও কমে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে তারা
আরও পড়ুন- ভূতের ভয়ে রাম-রাম বলবো না? অমর্ত্যকে অর্থনীতিতেই থাকার পরামর্শ রাজ্যপাল তথাগত রায়ের
বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ‘ঘরে ফেরাতে’ মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ছাড়া সব মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। তাদের শরিক দুই নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর মন্ত্রীপদ ছেড়ে সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে বিজেপকে সমর্থন করতে পারেন তাঁরা। এর ফলে জোট সরকারের কাছে ১১৬ বিধায়ক হাতে রয়েছে। যদি আজ ওই ১৩ বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হয় তাহলে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৩-এ। বিজেপির হাতে বিধায়ক ১০৫। ২ শরিক তাদের সঙ্গে থাকায় মোট বিধায়ক ১০৭। সেক্ষেত্রে ২২৪ আসনের ম্যাজিক ফিগারও ১১৩ থেকে কমে দাঁড়াবে ১০৫-এ। অর্থাত্ কুমারস্বামীর সিংহাসন যে কোনও সময় খোয়াতে হতে পারে। তবে, ‘যদি’ যদি বাস্তবায়িত হয়...