জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় সরকার এবার জন্মের শংসাপত্রের ক্ষেত্রে নিয়ে আসছে আইনি বদল। এ সংক্রান্ত এর আগের যে আইনটি ছিল, সেটা বদলে তারা নতুন আইন নিয়ে আসতে চাইছে। এই নিয়ে সংশোধনী বিল পেশও হয়েছে সংসদে। সংসদে নতুন যে বিল পেশ করা হয়েছে সেটি হল-- 'রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩'।
আগের আইনটি ছিল ১৯৬৯ সালের-- 'রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯'। এবার সংশোধনী বিল আসছে এই আইনটিকে কেন্দ্র করেই। এই বিল যে আইন আনছে, তার সূত্রে এ দেশের যে কোনও নাগরিককে যে কোনও ক্ষেত্রেই দাখিল করতে হবে বার্থ সার্টিফিকেট। নতুন এই আইনের বলে, এবার এক বার্থ সার্টিফিকেটেই হবে হাজারো কাজ।
কী কী করা যাবে শুধু বার্থ সার্টিফিকেটেই?
বার্থ সার্টিফিকেট দেখিয়ে এবার থেকে ভর্তি হওয়া যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, আবেদন করা যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। কেউ যদি নিজের নাম তুলতে চান ভোটার তালিকায় তখনও কাজে লাগবে এই শংসাপত্র। এর ফলে আধার পেতেও সুবিধা হবে। বার্থ সার্টিফিকেট লাগবে বিয়ের সময়েও। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে আবশ্যিক হচ্ছে জন্মের শংসাপত্র। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময়ও দেখাতে হবে এই শংসাপত্র।
নতুন আইন তৈরি হলে সরকারি নথি তৈরি করতেও অনেক সুবিধা হবে। জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে রেজিস্ট্রেশনকৃত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে 'রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩'।
আদতে কী হবে এর জেরে?
এর ফলে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে। পাশাপাশি জনসেবা বা সামাজিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: Manipur Violence: 'গা ঢাকব বলে একটু কাপড় চাইছি'! আগুনে মণিপুর নিয়ে কবির প্রতিবাদ...
বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সংসদে এই বিল পেশ করে নিত্যানন্দ রাই বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে 'রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯' সংশোধন করা হয়নি। সেটাই করার চেষ্টা হচ্ছে।