জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াগরাজের ঘটনার কপি। গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পর এবার পুলিসের ঘেরাটোপে কোর্ট রুমের বাইরে গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার সঞ্জীব জিভা। যোগী রাজ্যের রাজধানী লখনউয়ের ওই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে গত ১৬ এপ্রিল প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাইয়ের খুনের ঘটনা। লউনউয়ে আজ সঞ্জীব মহেশ্বরী ওরফে সঞ্জীব জিভা মারা গেলেও আততায়ীদের গুলিতে আহত হয়েছেন এক পুলিস কনস্টেবল এক নাবালিকা।
আরও পড়ুন-আড়াই লাখ টাকা কেজি, গাছ ঝুলছে কোটি কোটি টাকার আম, ঘুম ছুটেছে বীরভূমের বাসিন্দার
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আততায়ীরা আইনজীবীর পোশাক পরে আদালতে ঢুকেছিল। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বেতাজ বাদশা ছিল এই সঞ্জীব জিভা। গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির ঘনিষ্ঠ এই গ্যাংস্টারকে গুলিতে আজ ঝাঁঝরা করে দেয় আততায়ী। সঙ্গে সঙ্গেই মটিতে লুটিয়ে পড়ে সঞ্জীব। তার ক্ষত থেকে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা হলেও কোনও কাজ হয়নি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে পুলিস।
#WATCH | Uttar Pradesh: Gangster Sanjeev Jeeva shot outside the Lucknow Civil Court. Further details awaited
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) June 7, 2023
(Note: Abusive language) pic.twitter.com/rIWyxtLuC4
এখনওপর্যন্ত স্পষ্ট নয় যে আততায়ী একজন ছিল একের বেশি। তবে আদালতে থাকা আইনজীবীরা একজনকে ধরে ফেলে। তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার সঞ্জীবকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিস। কোর্ট রুমে ঢোকার মুখে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আততায়ী।
ডজনখানেকেরও বেশি মামলা রয়েছে সঞ্জীব জিভার নামে। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্রিমিন্যাল গ্যাং চালাত সঞ্জীব। উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশে তার নামে কমপক্ষে ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তার জেলও হয়েছিল। জানা য়াচ্ছে গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। কিন্তু প্রয়াগরাজের মতো কীভাবে পুলিসের ঘেরাটের আতাতায়ী বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
১৯৯৭ সালে ফারুকাবাদে খুন হন বিজেপি নেতা ব্রহ্ম তিওয়ারি। সেই খুনের সঙ্গে নাম জড়ায় সঞ্জীবের। অটর বিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন ব্রহ্ম তিওয়ারি। তোলাবাজি খুনের পাশাপাশি রাজনীতেও মাথা গলানোর চেষ্টা করেছিল সঞ্জীব। আরএলডির টিকিটে ২০১৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সঞ্জীবের স্ত্রী পায়েল মাহেশ্বরী। কিন্তু হেরে যান। সম্প্রতি এক মামলায় সঞ্জীবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু জেলেই খুনের আশাঙ্কা করেছিল। ২০২১ সালে পায়েল তিওয়ারি সুপ্রিম কোর্টে চিঠি লিখে জানান তাঁর স্বামীকে খুন করা হতে পারে। বুধবার একপ্রকার সেই ঘটনাই ঘটে গেল।