জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধ্যযুগীয় বর্বরতার চূড়ান্ত! সন্তানলাভে সাহায্য়ের নামে এক নারীর উপর নারকীয় নির্যাতন! ৩৫ বছরের ওই মহিলাকে জোর করে খাওয়ানো হল টয়লেটের নোংরা জল। শেষে ভূত-প্রেত তাড়ানোর নামে ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন পর্যন্ত করলেন এক তান্ত্রিক (Tantrik torture killed woman)। হাড়হিম করে দেওয়া এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে (UP Shocker)।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম অনুরাধা। বিয়ের পর ১০ বছর কেটে গেলেও অনুরাধার গর্ভে আসেনি কোনও সন্তান। আধ্যাত্মিক উপায়ে মহিলাদের মা হতে সাহায্য করতে পারেন, এমন কথা শুনে অনুরাধা তাঁর মাকে নিয়ে চান্দু নামে স্থানীয় এক তান্ত্রিকের (Tantrik) কাছে যান। অনুরাধাকে গর্ভধারণে সাহায্য করার জন্য ওই তান্ত্রিক ১ লাখ টাকার চুক্তি পর্যন্ত করেন। ২২,০০০ টাকা অগ্রিমও নেন।
এরপরই আজমগড়ের কান্ধরাপুর থানা এলাকার পাহলওয়ানপুর গ্রামে এরপর বসে অনুরাধার 'গর্ভধারণের' অনুষ্ঠান। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে নারকীয় অত্যাচার করা হয় অনুরাধার উপর। তান্ত্রিক ও তাঁর সহযোগীরা দাবি করেন যে, অনুরাধার উপর 'অশুভ আত্মা' ভর করেছে। এরপরই 'ভূত-প্রেত তাড়াতে' তাঁর চুল টেনে ধরে, ঘাড়-মুখ চেপে ধরে জোর করে তাঁকে খাওয়ানো হয় ড্রেনের নোংরা জল।
অনুরাধার মা মেয়ের উপর হওয়া এই অত্যাচার থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন। এর কিছুপরই অনুরাধার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা বলিরাম যাদব। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ইতিমধ্যেই তান্ত্রিক চান্দু থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে তাঁর সহযোগীরা এখনও পলাতক। তাঁদের খুঁজছে পুলিস। শুরু হয়েছে তল্লাশি। তিন ভাইবোনের মধ্যে অনুরাধা-ই ছিলেন সবার বড়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চান্দু নামে ওই তান্ত্রিক তাঁর বাড়িতেই ছোট মন্দির তৈরি করে আধ্যাত্মিকতার নামে ফাঁদে ফেলতেন গ্রামের মানুষদের।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)