জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নৈনিতালে এইচআইভি সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ, কিশোরীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। গত বুধবার (৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়, যেখানে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলাকে ঘিরে এক চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসে। পোস্ট অনুযায়ী, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী-কে ঘিরে অভিযোগ, সে প্রায় ১৯ জন যুবককে HIV-তে সংক্রমিত করেছে।
আরও পড়ুন, India Post: ইতিহাসের শেষ! রেজিস্ট্রি চিঠি বন্ধ করে দিল ডাকঘর, এবার তবে কী?
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কিশোরী ‘স্ম্যাক’ নামক মাদকদ্রব্যে আসক্ত ছিলেন। নেশার অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান, যাদের কেউই তার HIV সংক্রমণের বিষয়টি জানতেন না। উল্লেখযোগ্যভাবে, কিছু বিবাহিত পুরুষও ওই সম্পর্কে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে তাদের স্ত্রীরাও পরবর্তীতে এইচআইভিতে সংক্রমিত হন।
প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত
যদিও এই তথ্য একটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্ট থেকে উঠে এসেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
তদন্তে ভয়াবহ চিত্র : আক্রান্তদের সবার সঙ্গেই এক কিশোরীর সংযোগ
ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে যখন নৈনিতাল জেলার গুলারঘাট্টি এলাকার একাধিক পুরুষ রাম দত্ত জোশী কম্বাইন্ড হাসপাতালে অজানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে তাদের হাসপাতালের আইসিটিসি (ICTC – ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার)-তে পাঠানো হয়, যেখানে পরীক্ষার পর একাধিক এইচআইভি সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
১৭ বছর বয়সী কিশোরীর স্বীকারোক্তি
নেশার টানে অসংখ্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, এইচআইভি ছড়িয়েছে বহুজনের মধ্যে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চরম বিস্ময়ের মুখে পড়েন, যখন কাউন্সেলিংয়ের সময় কিশোরী স্বীকার করেন যে, তিনি গত প্রায় ১৮ মাস ধরে বহু পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হেরোইনের (স্ম্যাক) নেশার খরচ জোগাড় করা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সম্পর্কগুলোর অনেকটাই ছিল অসুরক্ষিত এবং পুরুষরা কেউই জানতেন না যে মেয়েটি এইচআইভি পজিটিভ।
বিবাহিতদের মধ্যেও ছড়ালো সংক্রমণ
বেদনাদায়কভাবে, আক্রান্তদের মধ্যে কিছু বিবাহিত পুরুষ ছিলেন, যার ফলে তাদের অজ্ঞাতসারে স্ত্রীরাও এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। ঘটনাটি অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক ও মাদকাসক্তির ভয়াবহ সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত পরিণতি স্পষ্ট করে তুলেছে। যেহেতু মেয়েটি একজন নাবালিকা (১৮ বছরের নিচে), তাই আইনি দিক থেকেও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। পকসো আইন (POCSO Act) অনুযায়ী, নাবালিকার সঙ্গে সম্মতির ভিত্তিতেও শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। ফলে যারা তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তারা আইন অনুযায়ী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)