নিজস্ব প্রতিবেদন: 'অগ্নিপথ' বিক্ষোভের (Agnipath Scheme Protest) ব্যাপক প্রভাব পড়েছে তেলেঙ্গানায়। বিশাখাপত্তনম স্টেশন, সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন জ্বালানো হয়, ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। সেই ঘটনায় ১৩ জন আহত হন এবং একজনের মৃত্যুও হয়।
অভিযোগ, ওই ধ্বংসাত্মক আন্দোলন তৈরির পিছনে ছিল কয়েকটি হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ। সেখান থেকেই নানান উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন স্টেশনে জড়ো হওয়ার বার্তাও সেখান থেকেই দেওয়া হয়। এমনকী আন্দোলন করলেও পুলিস কিছুই করতে পারবে না, সেই কথাও নাকি ওই হোয়াটয়অ্যাপ গ্রুপগুলো থেকেই বলা হয়েছিল।
হায়দরাবাদ নর্থ জোনের এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, সমস্ত হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপের তথ্য তাঁদের হাতে রয়েছে। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বার্তা পেয়েই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে প্রায় দু'হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। ইতিমধ্যে এমনই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের খোঁজ পেয়েছে পুলিস, নাম 'হাকিমপেট আর্মি সোলজার্স' (Hakimpet Army Soldiers)। ইতিমধ্যে তেলেঙ্গানার একটি কোচিং সেন্টার, যারা সেনার চাকরির জন্য যুবক-যুবতিদের প্রশিক্ষণ দেয়, তাঁদের নাম উঠে এসেছে।
এছাড়া গিন্টুর জেলা থেকে সাই ডিফেন্স অ্যাকাডেমির মালিক বছর পঞ্চাশের সুব্বা রাওকেও পাকড়াও করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, যুব সমাজে এই সংস্থার প্রভাব প্রবল। এর কাছে বহু যুবক-যুবতির ফোন নম্বর রয়েছে, যাঁরা সেনায় চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখান থেকে নম্বর পেয়েই আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে বলে, পুলিসের অনুমান। এই সব দেখেই পুলিসের অনুমান, পরিকল্পনা করেই তেলেঙ্গানায় অগ্নিপথ আন্দোলন সংগঠিত করা হয়েছেন।