নিজস্ব প্রতিবেদন: 'অগ্নিপথ' নিয়োগ প্রকল্পের নিয়ে উত্তাল বিহার এবং উত্তর প্রদেশের। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার দেশের প্রায় ৭ রাজ্য জুড়ে বিক্ষুব্ধ আন্দোলন দেখা গিয়েছে। বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখন্ড, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, বাংলা, হরিয়ানা, পঞ্জাবে অগ্নিপথ বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে বেশি।
এই প্রকল্প অফিসারদের তুলনায় নীচের পদে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর লক্ষ্য তরুণ সৈন্যদের সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করা। এদের মধ্যে অনেকেই চার বছরের চুক্তিতে থাকবে। ১৭ থেকে সাড়ে ২১ বছর বয়সী যুবকদের চার বছরের মেয়াদে নিয়োগ করা হবে এবং ২৫ শতাংশ নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিত পরিষেবার জন্য রাখা হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর ৪৬,০০০ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে।
কিন্তু অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে এত অশান্তি, এত বিক্ষোভ কেন?
১. চাকরি প্রার্থীরা ১৫ বছরের পুরো মেয়াদ চান। সেখানে অগ্নিপথ স্কিমে শুধুমাত্র ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য ধরে রাখা হবে। বিক্ষোভকারীরা আরও বেশি বছরের অভিজ্ঞতা সহ উচ্চবেতন এবং অবসর নেওয়ার পরে পেনশন চান।
২. অগ্নিপথ স্কিমের অধীনে, নিয়োগপ্রাপ্তদের চার বছরের পরিষেবা শেষ করার পরে এককালীন ১১.৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তারা কোনও গ্র্যাচুইটি, পেনশন বা অন্য কোনো অবসরকালীন সুবিধা পাবেন না।
৩. কিছু অবসরপ্রাপ্ত সার্ভিস অফিসার আশঙ্কা করছেন যে এই নিয়োগ পদ্ধতিটি সশস্ত্র বাহিনীর সাংগঠনিক নীতি এবং অপারেশনাল কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. কিছু সমালোচকের এও আশঙ্কা রয়েছে যে অগ্নিপথ প্রকল্পটি বেশ কয়েকটি রেজিমেন্টের গঠন পরিবর্তন করবে যা নির্দিষ্ট অঞ্চলের পাশাপাশি রাজপুত, জাট এবং শিখদের মতো বর্ণের যুবকদের নিয়োগ করে। তবে সরকার বলছে, এ ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন হবে না। প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিপি মালিক ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন যে রেজিমেন্টাল ব্যবস্থা সেখানে অব্যাহত থাকবে।
৫. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে 'অগ্নিবীর' যারা চাকরি পেতে ইচ্ছুক তাদের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিস বাহিনীতে (সিএপিএফ) অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তবে অনেক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে এর কোনও নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন, Agnipath Scheme: অগ্নিপথ নিয়ে জ্বলছে দেশের একাধিক রাজ্য! এক নজরে জেনে নিন কী এই প্রকল্প