Andhra Pradesh Crime: হাড়হিম, ভয়ংকর বললে হয়তো কম হবে। ১৫ বছরের দলিত মেয়েকে দু'বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ। ১৩ বর্বরের নারকীয় অত্যাচারে বর্তমানে ৮ মাসের গর্ভবতী নির্যাতিতা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৫ বছরের দলিত মেয়েকে দুই বছর ধরে নাগাড়ে গণধর্ষণ। নক্কারজনক এই ঘটনায় ১৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাড়হিম ঘটনাটি ঘটে, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীসত্য় জেলায়।
৯ জুন নির্যাতিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। এবং সে জানায় যে লাগাতার যৌন নির্যাতনের ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। অভিযোগ দায়ের পরই এই ভয়াবহ ঘটনাটি সামনে আসে।
এই ঘটনায় POCSO আইন (শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষা আইন), SC/ST নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS) একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হল: আচমপল্লি ভার্ধন (২১), তালারি মুরালি (২৫), বাদাগোরলা নন্দভার্ধন রাজ (২৩), অরেঞ্চেরু নাগরাজু (৫১), বয়্যা সঞ্জীব (৪০) ও বুদিদা রাজান্না (৪৯)। তাদের সবাইকে ৯ জুন গ্রেফতার করা হয়। বাকি ৭ জনকে ১০ জুন গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত পলাতক।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা নির্যাতিতার কিছু অশালীন ছবি ও ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করত। তাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে নির্যাতিতা কিশোরী ৮ মাসের গর্ভবতী। আনন্তপুর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
চিকিৎসক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থার অনেকটাই হয়ে যাওয়ায় গর্ভপাত সম্ভব নয়, তাই তার চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তার দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, মামলাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের একজন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এমনকি গ্রামের কিছুজন নির্যাতিতাকে মামলাটি মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলে।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার মা একজন দিনমজুর। এবং বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছে। অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে সমাজের চাপ ও ভয় দেখিয়ে মেয়েটি ও তার পরিবারকে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে পুলিসের ধারণা।