তালিবানদের হাতে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পরই দেশ ছাড়ছেন বাসিন্দারা। যদিও তালিবানরা জানিয়েছিলেন, তারা রক্তক্ষয় চায় না। কিন্তু তাতে আস্থা নেই সাধারণ মানুষের। প্রাণে বাঁচতে কাতারে কাতারে আফগানি স্বদেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। এই আবহে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে ভারত-সহ একাধিক দেশ।
আমেরিকা বলেছে, যারা তাদের বাহিনীকে সাহায্য করেছে তাদের পুর্নবাসন দিয়ে, অন্যদিকে ব্রিটেন বলেছে যে তারা ৫ হাজার 'সংকটজনক' আফগান নাগরিকদের পুনর্বাসন করবে। কানাডা ২০,০০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যখন আলবেনিয়া বলেছে যে তারা শয়ে শয়ে আফগানিকে আশ্রয় দেবে।
এমনকি আফগান নাগরিকদের আশ্রায় দিতে পারে নয়া দিল্লিও। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই কবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আফগান নাগরিকদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার হিড়িক নজরে পড়েছে।
প্রায় ৭০০০ হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনীকে কার্গো বিমানে কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিট্রেন জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত তারা প্রায় ১২০০ জনকে দেশ থেকে বের করে নিয়েছে। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে বলেছেন যে তারা প্রায় ১৭০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
ভারতে আসার জন্যে ভিসার আবেদন বেড়েছে ইতিমধ্যেই। জাতিসংঘের UN Refugee Agencyশনিবার বলেছে, আফগানিস্তানে মানবিক সংকট উদ্বেগজনক।
এদিকে, নারী অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই - যিনি একসময়ে তালিবানদের গুলি খেয়েছিলেন মাথায়, বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিবেশী দেশগুলিকে তাদের সীমানা খোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাইডেন প্রশাসন, মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে সমালোচনার কুড়িয়েছেন, তারা এই মাসের শুরুতে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করা আফগানদের জন্য শরণার্থী কর্মসূচির ঘোষণা করেছে।
গত মাসে তাজিকিস্তান বলেছিল যে তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে ১০ লাখ ঘরচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত। তবে ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের পুনরাবৃত্তির উদ্বেগের মধ্যে,বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশ তাদের বেশি সংখ্যক আফগান শরণার্থীদের গ্রহণে প্রতিশ্রুতি দিতে অনিচ্ছুক।