>Air India Crash: এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনারটি টেক অফের পর প্রায় ৪২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল। কিন্তু তারপর প্রতি মিনিটে ...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের উড়ান ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান বিপর্যয়। আমদাবাদের মেঘানিনগরে টেক অফের ২ মিনিটের মধ্যেই ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI 171। একজন ছাড়া বাকি সব যাত্রীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যে সমস্ত ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, টেক অফের পরই রাম এয়ার টারবাইন বা RAT চালু করেছিল অভিশপ্ত AI 171।
১৮ সেকেন্ডের একটি ক্লিপ, যাতে আওয়াজ ও ছবি স্পষ্ট, সেখানে টারবাইনের খুব জোরে ঘূর্ণায়মান আওয়াজ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। যা কিনা একটি আপৎকালীন ডিভাইস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের ইঞ্জিন সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে যাওয়া বা বিমানের বিদ্যুৎ 'ফেলিওর'-এর মতো একদম চূড়ান্ত সময়ে এই RAT বা রাম এয়ার টারবাইন চালু করা হয়।
জানা গিয়েছে, টেক অফের পরই বিপদ আঁচ করতে পেরে পাইলট 'MAYDAY! MAYDAY! MAYDAY!' বলে চিৎকার করে ওঠেন। বার্তা পাঠান, 'থ্রাস্ট নট অ্যাচিভড!'
পাইলটের এই ৩ শব্দ-ই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কারণ ড্রিমলাইনারের ক্ষেত্রে যেখানে সাধারণত ২.৫ থেকে ৩ কিলোমিটার রানওয়ে প্রয়োজন হয়, সেখানে আমদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ড্রিমলাইনারটি পুরো ৩.৫ কিলোমিটার রানওয়ে ব্যবহার করেছিল।
তাও কেন ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় গতি উঠল না? অভিশপ্ত বিমানের ADS-B বা অটোমেটিক ডিপেন্ডেন্ট সার্ভিল্যান্স ব্রডকাস্ট থেকে জানা গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনারটি টেক অফের পর প্রায় ৪২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল।
কিন্তু তারপর প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে নীচের দিকে নেমে আসে। সর্বোচ্চ বিন্দু থেকে হস্টেলে আছড়ে পড়া পর্যন্ত পুরো ঘটনাটি ৪৫ থেকে ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে হয়।
এখন দুর্ঘটনাগ্রস্ত AI-171 -র ২টি ব্ল্যাক বক্স ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার হয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে। ২৭৫ প্রাণহানির কারণের উত্তর মিলবে।