১৯২৩ সালে একটি আন্তর্জাতিক দুর্যোগে প্রথম মে ডে কল নেওয়া হয় দুর্যোগের বার্তা হিসেবে। এরপর ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেডে কল চালু হয়। বিপদ সংকেত হিসেবে এই MAYDAY কল লন্ডনের ক্রয়ডন বিমানবন্দরের একজন সিনিয়র রেডিও অফিসার ফ্রেডেরিক মকফোর্ডের ধারণা ছিল।
মেডে! মেডে! মেডে! এই কলের অর্থ খুব বড় মাপের বিপদ। বড় মাপের জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে যেখানে সেখানে এই মেডে কল নেওয়া হয়। রেডিও যোগাযোগের মাধ্যমে বিপদ সংকেত পাঠানোর জন্য 'মে ডে' সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। এই মেডে কল জরুরি অবস্থা নির্দেশ করে।
সাধারণত নিয়ম বা পদ্ধতি অনুযায়ী পর পর ৩ বার ডাকা হয় মেডে! মেডে! মেডে! যাতে অনেক ভিড়, আওয়াজ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশের মধ্যেও এই বার্তা পৌঁছে যায় ও সবাই সতর্ক হয়। মেডে-র মাধ্যমে যায় বিপদ সংকেত।
এরপরই সম্ভাব্য উদ্ধারকারীদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হয়। যার মধ্যে রয়েছে বিমানের ধরণ ও শনাক্তকরণ, কী ধরনের জরুরি অবস্থা, শেষ অবস্থান, বর্তমান আবহাওয়া, অবশিষ্ট জ্বালানি, কী ধরণের সাহায্যের প্রয়োজন ও কতজন মানুষ বিপদে আছেন তার তথ্য।
কখনও কখনও বিপদে থাকা অন্য বিমানের হয়ে আরেকটি ফ্লাইট থেকেও মেডে ডিস্ট্রেস কল পাঠানো হয়ে থাকে। এটিকে মেডে রিলে বলা হয়। বিপদে থাকা বিমানটি যদি যখন রেডিও যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে, তখন কখনও কখনও মেডে রিলে-র প্রয়োজন হয়।
ওয়ান্ডারপোলিস থেকে জানা যায়, MAYDAY কলটি সম্ভবত এসেছিল ফরাসি শব্দ M'aider থেকে। যার অর্থ 'আমাকে সাহায্য করুন'। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভুয়ো মে ডে কল করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ ৫০ ডলার জরিমানা হতে পারে।